জেই-তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কোচবিহারে

কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এক জনের ক্ষেত্রে জেই-র রিপোর্ট মিলেছে। বাকি দু’জনের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।” তিনি জানান, মশা মারতে জেলা জুড়ে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। স্প্রে হচ্ছে, সচেতনতা বাড়াতে প্রচার হচ্ছে। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে নজরদারিতে দল গড়া হয়েছে। আক্রান্ত বাসিন্দাদের বাড়ি যে এলাকায়, ইতিমধ্যে সে সব জায়গা ঘুরেও দেখেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৫:১০
Share:

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু চলছেই কোচবিহারে। বুধবার মারা গিয়েছেন তুফানগঞ্জের নাককাটিগছের বাসিন্দা অখিমা বেওয়া (৬০)। সিএফএফ পরীক্ষাতে ওই বৃদ্ধার জাপানি এনসেফ্যালাইটিস ছিল বলে রিপোর্ট মিলেছে। তুফানগঞ্জ হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে তিন দিনে জেলায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে লোকেশ্বর বর্মণ (৬৪) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তুফানগঞ্জের অন্দরান ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে বাড়ির লোকেরা কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে মারা যায় জ্বরে আক্রান্ত ইসমাইল মিঁয়া (১২)। তার বাড়ি ধুবুড়িতে। লোকেশ্বরবাবুরও অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ ছিল। তাঁরও সিএসএফ পরীক্ষা হচ্ছে।

Advertisement

কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এক জনের ক্ষেত্রে জেই-র রিপোর্ট মিলেছে। বাকি দু’জনের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।” তিনি জানান, মশা মারতে জেলা জুড়ে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। স্প্রে হচ্ছে, সচেতনতা বাড়াতে প্রচার হচ্ছে। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে নজরদারিতে দল গড়া হয়েছে। আক্রান্ত বাসিন্দাদের বাড়ি যে এলাকায়, ইতিমধ্যে সে সব জায়গা ঘুরেও দেখেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, চিন্তা বাড়িয়েছে ডেঙ্গিও। জানুয়ারি থেকে জেলায় মোট ১৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন গত এক মাসের মধ্যে।

Advertisement

এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, দু’সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল জেলায় টানা ভারি বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে নর্দমা, নিচু জায়গায় জল জমছে। দিনে চড়া রোদ হচ্ছে। তাতে মশার লার্ভা বাড়ার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, মশার লাভা মারতে কয়েক লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।

জেই যন্ত্রণা

• জাপানি এনসেফ্যালাইটিস ভাইরাস ঘটিত রোগ।

• মূলত কিউলেক্স বিশনোই মশা থেকে এই রোগের আশঙ্কা থাকে।

• ওই মশা আক্রান্ত শুয়োরকে কামড়ে মানুষকে কামড়ালে জেই হতে পারে।

• জ্বর বাড়ে হু হু করে। রোগী অনেক সময় ভুল বকে। খিঁচুনি, মাথার যন্ত্রণা, সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• প্রতিষেধক টিকা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন