মানসিক অবসাদ, জামিন চান নিতু

মানসিক অবসাদে ভুগছেন সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু। সোমবার আলিপুর আদালতে নিজের জামিনের সওয়াল করতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। যদিও এ দিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। নিতুর সঙ্গে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার, ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবাল ও অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪১
Share:

মানসিক অবসাদে ভুগছেন সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু। সোমবার আলিপুর আদালতে নিজের জামিনের সওয়াল করতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। যদিও এ দিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। নিতুর সঙ্গে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার, ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবাল ও অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈকেও।

Advertisement

জেল হেফাজত থেকেই এ দিন আলিপুর আদালতে নিতু, রজতবাবু, সন্ধির ও সদানন্দকে হাজির করায় সিবিআই। নিতু আদালতে জানান, ২০০১ সাল থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এখনও রোজ অনেকগুলি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। গত দু’দিন ধরে তাঁর অবসাদ বেড়ে গিয়েছে। এই যুক্তিতেই জামিনের আর্জি জানান নিতু। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে রজতবাবুর জামিনের জন্য সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী তীর্থঙ্কর রায়। জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন সন্ধির ও সদানন্দের আইনজীবীরাও।

তীর্থঙ্করবাবু আদালতে জানান, রজতবাবুর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার প্রয়োজন আছে। আদালত রজতবাবুর পরিচিত তিন জন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ নিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে গেলে কর্তৃপক্ষ তা মানতে চাননি। তিনি আরও জানান, নিতুকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিয়েছিল আদালত। কিন্তু গত ২২ অক্টোবর থেকে আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ সেই মর্যাদা কেড়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করেছেন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

সিবিআইয়ের পাশাপাশি সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। ইতিমধ্যেই প্রচুর লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। ইডি সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে সারদার একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে সুদীপ্ত সেনের কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তিও রয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারিতে শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। বেশ কিছু তথ্যও চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। ইডি সূত্রের দাবি, সোমবার রাত পর্যন্ত সেই তথ্য জমা দেননি শিল্পী।

এ দিন বাঁকুড়া আদালত থেকে একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরে সুদীপ্ত-সহ সংস্থার কয়েক জন শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে সংস্থার এক এজেন্ট মামলা করেছিলেন। এ দিন সেই মামলাতেই জামিন পান সুদীপ্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন