সারদা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সবক’টি মামলার তদন্ত ও শুনানি চালানোর ভার নেয়নি সিবিআই। ফলে সারদার বেশির ভাগ মামলারই শুনানি হচ্ছে না। অথচ এই সংক্রান্ত নানা মামলাতেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আদালতে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে আজ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আদালত করলেন অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়।
২০১৩-র এপ্রিলে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গেই কাশ্মীর থেকে ধরা পড়েছিলেন সারদার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী। তার পর থেকেই তিনি জেলে। আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও বিচারপতি আর ভানুমতীর বেঞ্চে দেবযানীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা দেবযানীর জামিনের আবেদন জানান। তাঁর যুক্তি, গত বছরের ৯ মে সুপ্রিম কোর্ট সারদা সংক্রান্ত সমস্ত মামলার তদন্তভার হাতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটি মাত্র ৭৬টি মামলা হাতে নিয়েছে। রাজ্য পুলিশের হাতে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি নিয়ে রাজ্য পুলিশের তদন্ত এগোচ্ছে না। আবার আদালতেও ওই মামলাগুলির শুনানি আটকে রয়েছে। দেবযানীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ মোট ১৮০টি মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু শুনানি না হওয়ায় জামিন পাচ্ছেন না দেবযানী। তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, এর ফলে দেবযানীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
সিবিআই সারদা সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত করছে না, এই অভিযোগ আগেও উঠেছে। গত বছরই এই অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির আবেদন জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও শাসক তৃণমূল। তখন সিবিআই আদালতে জানায়, তাদের পক্ষে সারদা ও অন্যান্য বেআইনি লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত করা সম্ভব নয়। তা হলে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের হদিস পেতে সমস্যা হবে। সে সময় সিবিআইকে লিখিত আবেদন করতে বলে শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আবেদন করেছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর আগামী ১৩ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি হবে। আজ বিচারপতি ঠাকুর জানান, দেবযানীর জামিনের আবেদনও সে দিন একই সঙ্গে শোনা হবে।