হাল্কা হিমের আমেজ, চাহিদা কম বিদ্যুতের

রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তারা জানাচ্ছেন, এ বার পুজোয় ষষ্ঠীতেই বিদ্যুতের চাহিদা সব থেকে বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কারণ রাজ্যের সর্বত্র এখন পঞ্চমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি

ধরে নেওয়া হয়েছিল, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় রাজ্যে (সিইএসসি এলাকা বাদ দিয়ে) বিদ্যুতের চাহিদা ৬০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা ৭টায় সময় রাজ্যে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছিল ৫৫০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। মঙ্গলবার, সপ্তমীতে দেখা গেল, চাহিদা আরও কমে দাঁড়িয়েছে কমবেশি ৫১০০ মেগাওয়াট।

Advertisement

রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তারা জানাচ্ছেন, এ বার পুজোয় ষষ্ঠীতেই বিদ্যুতের চাহিদা সব থেকে বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কারণ রাজ্যের সর্বত্র এখন পঞ্চমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। ষষ্ঠীতে আবার পুজোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অফিস, কিছু কলকারখানাও খোলা থাকে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে রাতের দিকে গরম কিছুটা কমে গিয়ে রাজ্যের সর্বত্র হাল্কা ঠান্ডার আমেজ চলছে। তার জেরে বিদ্যুতের চাহিদা ৫,৫০০ মেগাওয়াটের ঘরেই থমকে যায়।

এ বার পুজোর বেশ কিছু দিন আগে থেকেই কোল ইন্ডিয়ার কয়লার জোগান কিছুটা কম থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন নিয়ে চিন্তায় ছিল বিদ্যুৎ দফতর। তবে পুজোর মুখে কয়লার জোগান ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে জ্বালানি ভাল পরিমাণে মজুত হয়ে যাওয়ায় পুজোয় বিদ্যুতের জোগানে কোনও সমস্যা হবে না বলে বিদ্যুৎকর্তারা জানিয়ে দেন। ঠান্ডা আমেজ কিছুটা পড়ে যাওয়ায় এসি, পাখা কম চালাতে হচ্ছে। চাহিদা ৫০০ মেগাওয়াটের মতো কমে যাওয়ায় কয়লা পুড়ছে কম। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎকর্তারা খানিকটা স্বস্তিতে।

Advertisement

সপ্তমী থেকে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে বলে বণ্টন সংস্থা জানিয়ে দিয়েছিল। সপ্তমীতে তা কমেও যায়। বিদ্যুৎকর্তাদের দাবি, চাহিদা বাড়লেও বিদ্যুতের অভাব হত না। পুজোর চাহিদা মেটানোর জন্য তাঁরা সব দিক থেকেই প্রস্তুত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন