পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগ

তফসিলি জাতিভুক্ত কিছু টেট-প্রার্থীর অভিযোগ, বেশি নম্বর পেয়েও তাঁরা সংরক্ষিত বা সাধারণ কোনও আসনেই নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। আর অনেক পার্শ্বশিক্ষক অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের বঞ্চিত করে সংরক্ষিত পদে সাধারণ শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের ঢোকাচ্ছে দালাল চক্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

তফসিলি জাতিভুক্ত কিছু টেট-প্রার্থীর অভিযোগ, বেশি নম্বর পেয়েও তাঁরা সংরক্ষিত বা সাধারণ কোনও আসনেই নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। আর অনেক পার্শ্বশিক্ষক অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের বঞ্চিত করে সংরক্ষিত পদে সাধারণ শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের ঢোকাচ্ছে দালাল চক্র।

Advertisement

এ ভাবেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় পার্শ্বশিক্ষকদের ব়ঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষক সমন্বয় সমিতির। প্রায় প্রতিটি জেলায় পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত শূন্য পদে সরকারের পছন্দের ‘লোক ঢোকানো’ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। অনেক প্রার্থীরই বক্তব্য, শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণের গোটা ব্যবস্থাটিই প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

পার্শ্বশিক্ষক সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোমিউল ইসলামের অভিযোগ, এমন বহু প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা পার্শ্বশিক্ষক নন। কিন্তু তাঁদের ওই সংরক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে। অথচ টেট পাশ করা পার্শ্বশিক্ষকেরা সংরক্ষিত পদে সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁদের ইন্টারভিউয়ে ডাকলেও তালিকাভুক্ত করা হয়নি। সম্প্রতি নদিয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে এই বিষয়ে অভিযোগও করেছেন পার্শ্বশিক্ষকেরা। রোমিউল জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনের থেকে কিছু বেশি পার্শ্বশিক্ষক টেট পাশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ না-করে পার্শ্বশিক্ষক নন এ রকম বহু প্রার্থীকে ওই স‌ংরক্ষণের আওতায় নিয়োগ করা হয়েছে। একটি দালাল চক্র এই নিয়ে সক্রিয় বলে অভিযোগ পার্শ্বশিক্ষকদের। এদের নামের তালিকা তৈরি করে পার্থবাবুকে দেওয়াও হয়েছে।

Advertisement

তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ব্যাখ্যা, বহু জেলায় সংরক্ষিত আসনের থেকে অনেক কম পার্শ্বশিক্ষক পাশ করেছেন। তাই সংরক্ষিত আসন খালি পড়ে থাকায় সেখানে বাধ্য হয়ে সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই দাবি অবশ্য মানতে চাননি পার্শ্বশিক্ষকেরা। এমনকী স্কুলে নিয়োগ হওয়ার পরে ফের নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ইন্টারভিউয়ের সময়েই সব কিছু খতিয়ে দেখার কথা ছিল। তার পরে এই জটিলতা কেন? গত মঙ্গলবারেই পর্ষদের সামনে গোটা সংরক্ষণ

ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন প্রার্থীরা। কোনও ক্ষেত্রেই ১০০ শতাংশ রোস্টার মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। যদিও পর্ষদের সভাপতি

মানিক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়নি। তবু যদি কোথাও কোনও রকম সন্দেহ থেকে থাকে, তা হলে লিখিত ভাবে সেই অভিযোগ পেশ করা হোক। খতিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন