বাগনান

ভাঙা টিকিট কাউন্টার নিয়ে বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

আজ পর্যন্ত তৈরি হল না বাগনান স্টেশনের দক্ষিণ দিকের টিকিট কাউন্টার। বছর আটেক আগে এই কাউন্টারটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল। এদিকে এই টিকিট কাউন্টারটি তৈরি না হওয়ায় সমস্যা পড়ছেন বাগনাননের খালোড় এলাকার হাজার হাজার ট্রেনযাত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০১:২১
Share:

আজ পর্যন্ত তৈরি হল না বাগনান স্টেশনের দক্ষিণ দিকের টিকিট কাউন্টার। বছর আটেক আগে এই কাউন্টারটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল। এদিকে এই টিকিট কাউন্টারটি তৈরি না হওয়ায় সমস্যা পড়ছেন বাগনাননের খালোড় এলাকার হাজার হাজার ট্রেনযাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দেন না।

Advertisement

এই স্টেশনের দুটি টিকিট কাউন্টার ছিল। এই দুটি কাউন্টার দিয়েই যাত্রীরা টিকিট কাটতেন। কিন্তু বতর্মানে স্টেশনটির দক্ষিণের টিকিট কাউন্টার ভেঙে যাওয়ায় শুধু উত্তরের কাউন্টারটাই চালু রয়েছে। যার ফলে যাত্রীদের এই একটা কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রচন্ড ভিড় হলেও এই একটি মাত্র কাউন্টার দিয়েই টিকিট কাটছেন যাত্রীরা। তাছাড়া আবার অনেক সময় এই উত্তরের কাউন্টারে টিকিট কাটতে গিয়ে যাত্রীদের হেনস্থা হতে হচ্ছে টিকিট পরীক্ষকদের হাতে। কখনও বা অপরাধ না করেও জরিমানা দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। সবকিছু জেনেশুনেও কিছু করতে পারছে না বাগনান স্টেশন কর্তৃপক্ষ। একই সমস্যায় ভুগছেন বীরশিবপুর স্টেশনের যাত্রীরাও।

খালোড়, কাঁটাপুকুর, আন্টিলা বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষ এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয় এই শাখায় হাওড়া ও খড়কপুরের পর বাগনান থেকে সবচেয়ে বেশি ট্রেনযাত্রী যাতায়াত করে। বাগনানে মোট পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম আছে। তার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি প্রধান টিকিট কাউন্টার। কিন্তু দক্ষিণের কাউন্টার না থাকায় উত্তরের কাউন্টার থেকেই টিকিট কাটতে হচ্ছে যাত্রীদের। সমস্যা হচ্ছে ওই উত্তরের কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসতে হয় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপর দিয়ে। এটি ছাড়াও অন্য একটি রাস্তা রয়েছে যেটি অনেকটা ঘুরে আসতে হয়। তাই এই রাস্তাদিয়েই বেশিরভাগ যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু এই সময় টিকিট পরীক্ষকেরা তাদের কাছ থেকে টিকিট দেখতে চান। কিন্তু তারা টিকিট না দেখাতে পারায় টিকিট পরীক্ষকেরা জরিমানা ধার্য করে। নিত্যযাত্রী সনত্‌ সেন জানায়, “টিকিট কাটতে উত্তরের কাউন্টারে যেতে গিয়ে ধরাপড়ি টিকিট পরীক্ষকের কাছে। আমি তাঁকে বলেছিলাম টিকিট কাটতে যচ্ছি। কিন্তু তবু আমার সঙ্গে জরিমানা নিয়ে টিকিট পরীক্ষকের ঝামেলা হয়েছিল।” শেষমেশ সনত্‌বাবু টিকিট পরীক্ষকের হাত থেকে ছাড়া পায়। কিন্তু এমনটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। অনেককেই বিনাকারণে জরিমানা দিতে হয় এই স্টেশনে।

Advertisement

তবে চটজলদি এই সমস্যার কোনও সমাধান নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই ভেঙে পড়া টিকিট কাউন্টারের জায়গায় একটি নতুন টিকিট কাউন্টার তৈরির পরিকল্পনা হয়ে গেলেও আর্থিক সঙ্কটের জন্য এক্ষুনি কিছু করতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে রেলের ডিআরএম ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। কারণ এরজন্য ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০০৬ থেকে এই কাউন্টারটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর শখার ডিভিশন্যাল রেলওয়ে ম্যানেজার বলেন, “এই সমস্যার কথা জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এমন সমস্যা হয় তাহলে নিশ্চই সমাধান করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন