কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের প্রহরায় গণনার প্রস্তুতি দুই জেলায়

আজ, শুক্রবার লোকসভা ভোটের গণনা। আগের দিন থেকেই জেলাস্তরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। সকাল সাতটার মধ্যে কর্মীদের চলে আসতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৪ ০১:৫০
Share:

বনগাঁয় গণনাকেন্দ্র ঘুরে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।

আজ, শুক্রবার লোকসভা ভোটের গণনা। আগের দিন থেকেই জেলাস্তরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে।

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। সকাল সাতটার মধ্যে কর্মীদের চলে আসতে বলা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওঙ্কারসিংহ মিনা জানান, বারাসতে বারাসত কলেজ, বসিরহাটে বসিরহাট কলেজ, বনগাঁয় দীনবন্ধু কলেজ, ব্যারাকপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ও দমদমে গুরুনানক ডেন্টাল কলেজে ভোট গণনা করা হবে। স্ট্রং রুম ও গণনাকেন্দ্রের বাইরে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে দুই কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ভোটগণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে জেলা ও রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটের আধিকারিক-কর্মী ও সাংবাদিকদের ঢোকার জন্য আলাদা আলাদা গেট করা হয়েছে। সচিত্র নির্বাচনী পরিচয়পত্র নিয়েই ঢোকা যাবে। বাইরের খাবার, জল, মোবাইল নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও রিটার্নিং অফিসার শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, জয়নগর কেন্দ্রের ভোট-গণনা হবে ক্যানিংয়ের ড্যাঙরাখালি বঙ্কিম সর্দার কলেজে। জেলা পুলিশ, রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গণনাকেন্দ্রের বাইরে তিনটি কর্ডন করা হবে। মোট দুই প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পাঁচশো রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জয়নগর কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনার জন্য আলাদা আলাদা করে ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১৪টি করে টেবিল থাকার কথা। সেখানে তিন জন করে ভোট-কর্মী থাকবেন।

মথুরাপুর লোকসভা ভোট গণনাকেন্দ্র করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজে। সকাল আটটা থেকে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু হবে। পুলিশ প্রহরা ছাড়াও স্ট্রং রুমে ভিডিও, সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটা টেবিলে এক জন করে মাইক্রো-অবজার্ভার, কাউন্সেলিং সুপারভাইজার, কাউন্সেলিং অ্যাসিস্ট্যান্ড সুপারভাইজার থাকার কথা। দুই জেলা প্রশাসন থেকেই জানানো হয়েছে, গণনা কেন্দ্রে মোবাইল, খাবার, জল নিয়ে ঢোকা যাবে না। বৃহস্পতিবার বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের বামপ্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ভোটে অনেক রিগিং হয়েছে। পুনর্নির্বাচন চাইলেও তা করা হয়নি। তাঁদের দাবি, ভোট গণনায় যেন কোনও খামতি না থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন