জয়নগর থানার তদন্তকারী অফিসার স্বরূপ প্রকাশ ধারার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০৬ সালে ওই অফিসার একটি মেয়েকে উদ্ধার করার নাম করে নিজের কোয়ার্টারে ধর্ষণ করে। আলিপুর আদালত তাকে বিচারের পরে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। অফিসার কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করে। মঙ্গলবার বিচারপতি তপেন সেন ও বিচারপতি তরুণ গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ ওই সাজা বহাল রাখে।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল জানান, ২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী তাঁর প্রেমিক অশোক বৈদ্যর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তরুণীর বাবা তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানান। ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ দু’জনকেই উদ্ধার করে ধরে আনে। তদন্তে দেখা যায়, দু’জনের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে ওই অফিসার তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে। অফিসার ওই তরুণীকে বলে, ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি যেন ফোন করে দেখা করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির বাবা ওই অফিসারকে ফোন করলে তিনি জানান, তখন তিনি ব্যস্ত। তাই মেয়েকে নিয়ে তিনি যেন দুপুরের পরে তাঁর কোয়ার্টারে আসেন। বাবা মেয়েকে নিয়ে যথারীতি বিকেলের দিকে ওই অফিসারের কোয়ার্টারে যান। কল্লোল মেয়েটির বাবাকে বলে, “থানায় আপনাকে কিছু কাগজপত্রে সই করতে হবে। আপনি থানায় গিয়ে সই করে আসুন।” বাবা বেরিয়ে গেলে ওই অফিসার ওই তরুণীকে নিজের কোয়ার্টারে ধর্ষণ করে।
এরপরেই ধর্ষণের মামলা শুরু হয়। তদন্তে দেখা যায়, সুযোগ নিয়ে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা তৈরি করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আলিপুর আদালত ‘রক্ষকই ভক্ষক’ এই শব্দ উচ্চারণ করে স্বরূপকে দোষী সাব্যস্ত করে। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আলিপুর আদালতের সেই নির্দেশই বহাল রাখল।