প্রসূতিকে হেনস্থার অভিযোগ

নবজাতক-সহ মায়ের সোমবার সকালে ছুটি হয়ে গেলেও দেখভালের টাকার দাবিতে তাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠল আরামবাগ হাসপাতালের কয়েক জন আয়ার বিরুদ্ধে। ঘণ্টা পাঁচেক টানাপোড়েনের পর হাসপাতালের সহকারী সুপার অর্ক সিংহের মধ্যস্থতায় বাড়ি ফেরেন ওই প্রসূতি। আয়া এবং এক আশাকর্মীর বিরুদ্ধে মুথাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সুমতি মাজি নামে ওই প্রসূতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:২৬
Share:

নবজাতক-সহ মায়ের সোমবার সকালে ছুটি হয়ে গেলেও দেখভালের টাকার দাবিতে তাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠল আরামবাগ হাসপাতালের কয়েক জন আয়ার বিরুদ্ধে। ঘণ্টা পাঁচেক টানাপোড়েনের পর হাসপাতালের সহকারী সুপার অর্ক সিংহের মধ্যস্থতায় বাড়ি ফেরেন ওই প্রসূতি। আয়া এবং এক আশাকর্মীর বিরুদ্ধে মুথাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সুমতি মাজি নামে ওই প্রসূতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প ‘জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম’-এর নিয়ম মতো সরকারি হাসপাতালে কোনও প্রসূতি মায়ের কোনও খরচ হবে না। নিখরচায় তিনি যাবতীয় ওষুধ, চিকিৎসা পরিষেবা এবং খাবার পাবেন। প্রসবের জন্য বাড়ি থেকে আসা এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার গাড়ি পাওয়া ছাড়াও টাকা পাবেন। প্রসূতির যাবতীয় দেখভালের দায়িত্বও হাসপাতালের।

তা সত্ত্বেও আয়াদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “খাতায়-কলমে আমাদের আয়া বলে কিছু নেই। রোগীর আত্মীয় হিসেবে কিছু মহিলা অনেক দিনই হাসপাতালে ওই কাজ করছেন। জোর করে তাঁরা রোগীর কাছে থাকতে চেয়ে পয়সা আদায় করছেন বলে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছি।”

Advertisement

রবিবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ইটভাটার শ্রমিক সুমতিদেবী। একবার বমি পরিষ্কার করে এবং একটি কাপড় ধুয়ে আয়া মোট ২০০ টাকা চাইছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। সুমতিদেবী বলেন, “আমার কাছে কোনও টাকা ছিল না। তাই দিতে পারিনি। আমাকে ধরে ওরা টানাটানি করছিল।” অভিযোগ উড়িয়ে আয়াদের পক্ষে সন্ধ্যা ভট্টাচার্যের দাবি, “প্রসূতিকে কেউ আটকে রাখেননি। তাঁর সঙ্গে থাকা আশাকর্মী সরকারি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছিলেন। তার প্রতিবাদ জানানো হয়।” তিনি কোনও আশাকর্মীর সাহায্য নেননি বলে দাবি করেছেন সুমতিদেবী। অথচ, তাঁকে সাহায্য করার নামে এক আশাকর্মী সুবিধা নিতে চাইছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। ওই আশাকর্মী মন্তব্য করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন