পাত্র-পাত্রী সবুজ ও সাথী। ছবি: মোহন দাস।
হিন্দুমতে বিয়ে। পাত্র সবুজ আর পাত্রী সাথী। হাজির অতিথি অভ্যাগতরা। পাঁজির বিধান মেনে কাঁটায় কাঁটায় রাত ১০টা বেজে ১০ মিনিটে শুরু হল বিয়ে। চলল রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত। নিমন্ত্রিতদের জন্য মেনুও রীতিমত লোভনীয়। মাংস, ভাত, দই, রসগোল্লা কী নেই তালিকায়। আরামবাগের প্রতাপনগরের সরকার পাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বসেছিল এই জমকালো বিয়ের আসর।
বৃষ্টির অপেক্ষায় সকলেই হা-পিত্যেশ করছেন। তাপের পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। বৃষ্টি নামাতে তাই আয়োজন শুরু দিয়েছিলেন স্থানীয় সবুজসাথী ক্লাবের ছেলেরা। সেই আয়োজনেই ওই দিন রাতে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হল ব্যাঙের। সকলের এতটাই কামনা, এ বার বৃষ্টি নেমে আসুক। রাত ৮টা, সেরে ফেলা হল পাত্রের গায়ে হলুদ। চলে এলেন পুরোহিত গৌর চট্টোপাধ্যায়। লগ্ন মেনে রাত ১০টা বেজে ১০ মিনিটে ফুল আর কলাগাছ দিয়ে সাজানো ছাতনা তলায় আনা হল পাত্র-পাত্রীকে। মেয়ের বাড়ির তরফে দাননসামগ্রীও তৈরি ছিল।
প্রথমে মালাবদল। কনেকে দান করলেন প্রতিবেশী ঠাকুমা মাধবী রায়। সব শেষে সিঁদুর দান। তিন ঘণ্টা ধরে বিয়ে চললেও একটুকুও অধৈর্য হয়নি পাত্রপাত্রী দু’টি সোনা ব্যাঙ। আগাগোড়া লক্ষ্মী হয়ে বসেছিল তাঁরা। বিয়ে দিয়ে রীতিমত উৎফুল্ল গৌরবাবু বলেন,“এই ধরনের বিয়ে দেওয়া আমার জীবনে প্রথম। একেবারে নিয়ম মেনে প্রতিটি মন্ত্র উচ্চারণ করেছি।”
নিমন্ত্রিতদের একজন তারক সরকার বলেন, “এই বিয়েতে হাজির হয়েছি বৃষ্টির কামনায়। এরপর যদি সত্যিই বৃষ্টি নামে তার থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। আবহাওয়ার যা অবস্থা, আর পারছি না।” আর এক আমন্ত্রিত লিপিকা জানা বলেন,“অনেক বিয়ে দেখিছি। এমনটা এই প্রথম। পেট পুরে খেলাম। এর পর বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই।”