সভার আগে। ছবি: নির্মল বসু।
সারদা প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। রবিবার বসিরহাট কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী নুরুল হুদার সমর্থনে তিনি হাসনাবাদের ভেবিয়া চৌমাথায় সভা করেন। প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত।
মানিকবাবু এ দিন বলেন, “তৃণমূলের কথায় মোহগ্রস্ত হয়ে মানুষ সারদায় টাকা রেখে সমস্ত খুইয়েছেন। যারা টাকা রেখেছিলেন এবং এজেন্ট হয়েছিলেন, তাঁদের আত্মহত্যার মিছিল শুরু হয়েছে।” সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে রাজ্যের আপত্তি নিয়ে তাঁর তীর্যক মন্তব্য, “সিবিআইয়ের কথা বললেই উনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) খেপে উঠছেন। কারণটা সহজেই অনুমেয়। ওঁর দলের বড় বড় নেতা সারদায় যুক্ত হয়েছিলেন। সিবিআই তদন্ত হলে সততার প্রতীকের মুখোশটা খুলে পড়বে। ধুলোয় লুণ্ঠিত হবে সম্মান। তাই ওঁরা সিবিআই করতে দিতে চাইছেন না।”
বসিরহাটে এ দিন তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলির সমর্থনে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় আবার সিবিআই প্রসঙ্গে সিপিএমের সমালোচনা করে বলেন, “সিবিআইয়ের সঙ্গে প্রেম হয়েছে বুদ্ধবাবুর। কেবলই বলছেন সিবিআই চাই। অথচ, নেতাইয়ে যখন ন’জনকে গুলি করে মারল, তখন সিবিআই এক জনকেও ধরতে পারল না।” এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের নানা তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি।
মানিকবাবু এ দিন তাঁর বক্তব্যে কংগ্রেস-বিজেপির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন। বিজেপিকে ‘বিষধর সাপ’ বলেও তুলনা টানেন তিনি। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। মাওবাদী সমস্যা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূল যদি সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে, তা হলে পুলিশ-মিলিটারি তো মরবেই।” সন্ত্রাসবাদ দমনে ত্রিপুরার সদর্থক ভূমিকার কথাও এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন সে রাজ্যের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী।