হাওড়ার আশি শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর এবং অতি উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সোমবার জানালেন জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস। ছিলেন হাওড়া শহরের পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে।
বুধবার হাওড়ায় ভোট। এই দিন জেলার মোট ২২৫৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৪২০১টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রথম দফায় ১১৮৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে অতিউত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যা ছিল মোট বুথের ৫২ শতাংশ। জেলাশাসক জানান, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পুরো ভোটগ্রহণ পর্ব নির্বিঘ্নে করার নির্দেশ দেওয়ায় আরও ১৮১৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে অতি উত্তেজনাপ্রবণ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ওয়েভ ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা রাখা হবে।
হাওড়ায় নির্বিঘ্নে ভোট করার জন্য মোট ৪৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এরমধ্যে শহর এলাকায় ১৬ এবং গ্রামীণ এলাকায় ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানান জেলাশাসক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর কত জন পুলিশ থাকবে সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
তবে হাওড়া শহরের পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে জানান, প্রতিটি বুথেই দু’জন সশস্ত্র পুলিশ এবং পাঁচ জন লাঠিধারী কনস্টেবল রাখবেন। থাকছে ‘ক্যুইক রেসপন্স টিম’-এর ব্যবস্থাও। এই দলে এক জন পুলিশ অফিসার ও পাঁচ জন সিআরপিএফ জওয়ান থাকবে। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা-সহ হাওড়ার অন্যান্য জেলার সীমানায় নজরদারি চালানো হবে। বুধবার সকাল থেকেই জেলার সব সীমানা সিল করে দেওয়া হবে।”