হিঙ্গলগঞ্জে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের একাংশ। ছবি: নির্মল বসু
তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলের ‘সুবিধা’ নেওয়ার কথা বলতে এসে নিজের দলেরই কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা সারতে শনিবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জে এসেছিলেন দিলীপবাবু। তখনই জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহকে ওই পদ থেকে সরানোর দাবিতে দলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কালীবাড়ির কাছে রাজ্য সভাপতির গাড়ি ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁরা কমিউনিটি হলের বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন। বিক্ষোভের মুখে দিলীপবাবুকে জানাতে হয়, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। তবে তাঁর কথায় বিশেষ লাভ হয়নি। বৈঠক চলাকালীন ঘরের দরজা ঠেলে খুলে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বুঝে দ্রুত বৈঠক শেষ করে কলকাতার পথ ধরেন দিলীপবাবু। শুক্রবার বসিরহাটে দলের কোর কমিটির বৈঠকেও বিকাশবাবুকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা হয়। এ দিন সকালে হিঙ্গলগঞ্জে রাজ্য সভাপতিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন অসন্তুষ্ট কর্মীরা।
মাস ছয়েক আগে বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিকাশবাবু অবশ্য আগাগোড়াই দাবি করে আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই অভিযোগের তদন্তে নেমে বিজেপি-র প্রাক্তন স্থানীয় বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
বিক্ষোভকারীদের তরফে দলের হিঙ্গলগঞ্জ মণ্ডল সম্পাদক অমিয় সরকার এ দিন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন বিকাশবাবু। আর এক নেত্রীকে নিয়েও দলের বহু কর্মী ক্ষুব্ধ।’’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপবাবু স্পষ্ট উত্তর দেননি। তিনি বলেন, ‘‘দলের অবস্থা ভাল হওয়ায় সকলেই একটা পদে থেকে কাজ করতে চাইছেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কোনও নেতার উপরে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা থাকলেও সকলকে একসঙ্গে কাজে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে।’’