প্রস্তুতি নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ

রাজ্যে পালাবদলের পরে ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ উপলক্ষে প্রতি বছর জোরদার প্রচারে নামে শাসকদল।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

ওন্দা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

Dilip Ghosh

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে জনসভার মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বাঁকুড়ার ওন্দা ফুটবল ময়দানে জনসভা করেন দিলীপবাবু। কাটমানি থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস-সহ নানা ব্যাপারে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি।

Advertisement

রাজ্যে পালাবদলের পরে ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ উপলক্ষে প্রতি বছর জোরদার প্রচারে নামে শাসকদল। তবে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার দু’টি কেন্দ্রেই পরাজয়ের পরে সেই প্রস্তুতি কেমন হয়, সেই নিয়ে জল্পনা ছিল। এ দিন জনসভায় দিলীপবাবু বলেন, “এ বার কি এ দিক থেকে কেউ ২১ জুলাই কলকাতায় যাবেন? কিছুই তো দেখতে পাচ্ছি না। না ওই সভার প্রচারে কোনও গেট আছে, না কোথাও তৃণমূলের পতাকা দেখা যাচ্ছে।” তিনি যুক্ত করেন, “যে সব তৃণমূল নেতারা কলকাতায় যাবেন তাঁদের রাস্তায় পেলে আগে ধরে কাটমানির টাকা ফেরত নিতে হবে। সাধারণ মানুষের টাকায় বাড়ি গাড়ি বানিয়েছে তৃণমূলের নেতারা।” দিলীপবাবুর কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “বৃহস্পতিবারই ২১ জুলাইয়ের প্রচারে বাঁকুড়া শহরে মিছিল করেছিলাম আমরা। সেখানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করেছে কী হারে এই জেলা থেকে মানুষ কলকাতায় যেতে মুখিয়ে রয়েছেন।”

বিজেপির ওন্দা মণ্ডল সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এ দিনের সভায় দশ হাজারের বেশি মানুষ এসেছিলেন। পুলিশের হিসাবে সংখ্যাটা অবশ্য হাজার চারেক। ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ বলেন, “বিজেপির সভায় ভিড় তেমন হয়নি বলেই শুনেছি।” এ দিন দিলীপবাবু কর্মীদের প্রতিরোধের বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনেক মার খেয়েছি। আর নয়। তৃণমূলের চোখ রাঙানি, সন্ত্রাস আর মানুষ মেনে নেবেন না।” তিনি যুক্ত করেন, “শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি ও কাটমানি খাওয়া হয়েছে। কাটমানির টাকা খেয়ে তৃণমূলের নেতারা ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। তবে মানুষের টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ওরা গ্রামে ঠাঁই পাবেন না।”

Advertisement

অরূপবাবু বলেন, “বিজেপির নেতারা জেলায় এসে কর্মীদের অশান্তি করার জন্য উস্কানি দেন। এই রাজনীতি সাধারণ মানুষ মেনে নেবেন না।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন