নেতা: খড়্গপুরে বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
পাহাড়ে হেনস্থার পরে প্রথম বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এসে পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজের প্রস্তাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার খড়্গপুরে আসেন শহরের বিধায়ক দিলীপবাবু। কর্মীরা চৌরঙ্গী থেকে বাইক র্যালি করে তাঁকে স্বাগত জানান। হুড খোলা গাড়িতে ইন্দা হয়ে সাউথ ডেভেলপমেন্টে নিজের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন দিলীপবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, “বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এই শহরের পুরপ্রধানকে নিয়ে বসে আলোচনা করেছিলাম। পুরপ্রধানকে বলেছিলাম, রাজনীতি তো চলতেই থাকবে। এমন কাজ করুন যাতে আপনার-আমার নাম থাকে। পুরসভাকে আমরা সহযোগিতার জন্য রাজি রয়েছি।”
দিলীপবাবু বিধায়ক হওয়ার আগে-পরে রেলশহর খড়্গপুরের বস্তি এলাকার উন্নয়নে রেল বাধা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি ‘ইন্ডিভিজ্যুয়াল হাউস-হোল্ড ল্যাট্রিন’ প্রকল্পে ৮ কোটি টাকা পেয়েছে পুরসভা। কিন্তু রেলের বস্তি এলাকায় বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার গড়ার অনুমতি রেলের থেকে মেলেনি। এ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে এ দিন দিলীপবাবু বলেন, “রেলের জমিতে সুলভ শৌচাগার করেছি। কই রেল তো বাধা দেয়নি। ইচ্ছে থাকলে সব হয়। রেলবস্তি বেআইনি। কিন্তু বস্তিতে যাঁরা ৩০-৪০বছর রয়েছে তাঁরা হঠাৎ কোথায় যাবে? আমি রেলকে বলেছি ওঁদের পুনর্বাসনে ব্যবস্থা করতে। নতুন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলব।”
তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার অবশ্য দিলীপবাবুকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, “এই শহরের বিধায়ক ডুমুরের ফুল। মাঝেমধ্যে এসে বড়-বড় কথা বলে হারিয়ে যান। একটি সুলভ শৌচাগার গড়া এবং বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার গড়া আকাশ-পাতাল তফাত। টাকা এসে পড়ে রয়েছে। ওঁকে বলুন ক্ষমতা থাকলে রেলবস্তির মানুষের সহযোগিতায় বাড়ি-বাড়ি শৌচাগারের কাজ করে দেখান।”
রেলশহরে নতুন করে মাফিয়ারাজে পুলিশ প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, “পুলিশ এখানে তোলা আদায় করছে। পুলিশের সাহায্যে আবার নতুন করে মাফিয়া তৈরি করে টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছে। মাফিয়ারাজে পুলিশ ও তৃণমূলের লাভ রয়েছে।” এ দিন বিকেলে মালঞ্চয় দলের বিজয়া সম্মিলনীতেও যোগ দেন দিলীপবাবু।
এ দিকে, বিজেপি সভাপতিকে ঘিরে হওয়া বাইক র্যালিতে বেশিরভাগ কর্মীরই হেলমেট না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হেলমেট চাড়া বাইক চালানো আমরা বরদাস্ত করি না। কর্মীদের তা বলাও হয়। তবু উৎসাহী কেউ কেউ হেলমেট না পরেই র্যালিতে এসেছিলেন। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও কড়া হব।’’