Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: নড্ডার তলবে দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ, রবিবার বৈঠক, সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে জল্পনা

সাধারণত দিল্লিতে সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠকের জন্য রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-কেও ডাকা হয়। কিন্তু এ বার অমিতাভ চক্রবর্তীকে যেতে বলা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২১ ১৬:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

শনিবার রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বৈঠকে আর কেউ থাকবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে রাজ্য বিজেপি-তে সাংগঠনিক রদবদল নিয়েই আলোচনা হবে। তবে দিলীপ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, “বিধানসভা ভোটের পরে একবার সকলে মিলে গিয়েছিলাম। তখন রাজ্যের বিষয়ে কথা হয়েছে। তবুও নড্ডাজি আমার সঙ্গে একবার আলাদা করে বসতে চেয়েছিলেন। সেই সময়টাই চূড়ান্ত হয়েছে। আজই ডাকা হয়েছে। রাতেই চলে যাব। কাল সকালে বৈঠক।”

Advertisement

শনিবার প্রথমে ঝাড়গ্রাম ও পরে দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপি-র বৈঠক ছিল দিলীপের। তা মিটিয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাধারণত দিল্লিতে সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠকের জন্য রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-কেও ডাকা হয় বৈঠকে। কিন্তু এ বার অমিতাভ চক্রবর্তীকে যেতে বলা হয়নি। একা দিলীপকে কেন ডাকা হল তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দিলীপের কিছু মন্তব্য নিয়ে বাবুল যে অসন্তুষ্ট তা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন আসানসোলের সাংসদ। একই ভাবে সৌমিত্র খাঁকে নিয়েও অস্বস্তিতে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দিলীপকে কেন ডাকা হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা কৌতুহল এবং জল্পনা। তবে দিলীপের দাবি, “এটা নতুন কিছুই নয়। সর্বভারতীয় সভাপতি আর রাজ্য সভাপতি বৈঠক করবেন এটা তো স্বাভাবিক বিষয়। নিয়মিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হচ্ছে। ভার্চুয়াল বৈঠকও হচ্ছে। কোনও বিষয়ে সামনাসামনি কথা বলা দরকার মনে করেই আমায় ডাকা হয়েছে। কখন বৈঠক হবে বা ‌আর কারা থাকবেন সেটা আমার জানা নেই। আর এমন একটা বৈঠক যে হবে তা আগে থাকতেই ঠিক করা ছিল।”

সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপের চাপা সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। শুরুটা হয়েছিল শুভেন্দুর দিল্লি সফর নিয়েই। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর, দু’বার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন শুভেন্দু। প্রথম বার এ নিয়ে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর ছিল, “আমাকে বলে যায়নি।” সে বার নড্ডা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। পরের বার শাহর সঙ্গে বৈঠক হয়। এই দুই বৈঠক নিয়েই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ অন্ধকারে ছিলেন। দিলীপকে দিল্লিতে ডাক এই অসন্তোষ ঢাকা দেওয়ার উদ্যোগও হতে পারে। দলের মধ্যেকার নানা ধরনের অসন্তোষ বা বেসুরো কথাবার্তা নিয়েও কথা হতে পারে তাঁর সঙ্গে।

Advertisement

রাজ্য বিজেপি-র একটি অংশ অবশ্য এই বৈঠককে ‘তেমন কিছুই নয়’ বলে দাবি করছেন। তাঁদের মতে, সম্প্রতি বাবুল ছাড়াও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গিয়েছেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। আবার রাজ্যের সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার মন্ত্রী হয়েছেন। তাই কিছু রদবদল দরকার রাজ্য সংগঠনে। সে সব নিয়েই নড্ডা কথা বলবেন দিলীপের সঙ্গে। একই সঙ্গে দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কী ভাবে সংগঠনে কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও কথা হতে পারে। সৌমিত্র রাজ্যের যুব সভাপতি না থাকতে চাওয়ায় সেখানেও খুব তাড়াতাড়ি বদল হতে পারে। সেটাও আলোচনার বিষয় হতে পারে নড্ডা-দিলীপ বৈঠকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন