Partha Chatterjee

Anubrata Mondal: পার্থের মতো অনুব্রতের দলীয় পদও কি যাবে? সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি

অনুব্রত দু’টি সরকারি পদেও রয়েছেন। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দলীয় দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ১৯:০০
Share:

পার্থর মতোই পরিণতি হবে কি অনুব্রতের? ফাইল চিত্র

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তৃণমূল তাঁকে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে দল দূরত্ব তৈরি করলেও কোনও পদ থেকেই সরানো হয়নি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির হাতে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। সেখানেই তাঁরা জানান, অনুব্রতের দলীয় পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে যথা সময়ে তা জানানো হবে।

Advertisement

অনুব্রতকে সিবিআই তলব করার পরে তৃণমূলের পক্ষে কিছুই বলা হয়নি। এর পরে বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই বোলপুরে অনুব্রতের বাড়িতে যাওয়া, আটক করার পরেও দল চুপ ছিল। বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ গ্রেফতার করে তাঁকে আদালতে হাজির করে সিবিআই। এর পরেই দলের পক্ষ থেকে প্রথম মুখ খোলা হয়। জানানো হয়, কেউ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলে তাঁকে নিজের লড়াই নিজেকে লড়তে হবে। দল তার সঙ্গে যুক্ত হবে না।

পার্থের গ্রেফতারের পরেও একই কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। পার্থ গ্রেফতার হন ২৩ জুলাই। এর পরে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা ২৮ জুলাই। একই দিনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। অভিষেক বলেন, ‘‘তদন্ত যত দিন না শেষ হবে, তত দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন। উনি আইনের চোখে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারলে তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Advertisement

এর পরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে। তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলও হয়েছে। অনেক জেলার সভাপতিও বদল করা হয়। কিন্তু বহাল ছিল অনুব্রতের পদ। শুধু বীরভূম জেলার সভাপতিই নয়, অনুব্রত দলের জাতীয় কর্মসমিতিরও সদস্য। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি এবং শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দলীয় দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও অনুব্রতের নিগমের চেয়ারম্যান থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত অবশ্য নেবে নবান্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন