‘দল থেকে কেন দূরে, সবাই জানেন’, মন্তব্য শোভনের

প্রসঙ্গত, শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বে আজ, বৃহস্পতিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধন করার কথা পাশের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:০২
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘‘চক্ষু-কর্ণের ব্যবধান মাত্র ৪ ইঞ্চি। তাই কান দিয়ে দেখবেন না’’— তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নানা জল্পনার উত্তরে বুধবার এই মন্তব্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কেন তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নে পদত্যাগী মন্ত্রী তথা মেয়র শোভনবাবু বলেন, ‘‘আমি এখনও তৃণমূলের বিধায়ক এবং কাউন্সিলর। তবে যাঁরা জেগে ঘুমোন তাঁরা কিছুই দেখতে পান না। আমি কেন দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছি, সে কথা সবাই জানেন।’’ সূত্রের খবর, তৃণমূলে এখন ক্ষমতার ‘পুনর্বিন্যাস’ হয়েছে বলে শোভন মনে করেন। সেই অবস্থান তিনি মানতে নারাজ। সমস্যার বীজ সেখানেই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বে আজ, বৃহস্পতিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধন করার কথা পাশের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

যদিও দল থেকে দূরে সরে যাওয়া শোভনকে কাছে আনতে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন। মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র পদে শোভনের উত্তরসূরি ফিরহাদ হাকিম লোকসভা ভোটের আগে এবং পরে কয়েকবার ফোন করে শোভনের সঙ্গে কথা এগোতে চেয়েছিলেন। ২৩ জুলাই রাতে শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে তাঁর সঙ্গে লুচি-আলুর দম সহযোগে বৈঠকে সেই প্রচেষ্টাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ চেহারা দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বরফ গলেনি বলে খবর। এ দিনও একই রকম কূটনৈতিক চালে শোভন জানান, ‘‘রাজনীতিতে আছি। ভবিষ্যতে কী করব, তা-ও জানি। ঠিক সময়ে সব স্পষ্ট হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement