ফাইল চিত্র।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে যে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যে সব মন্তব্য করেছেন, সেই বিষয় নিয়েই বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। ডিভিশন বেঞ্চের কাছে বৃহস্পতিবার এজি জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে অনেক মন্তব্য করেছেন। এমনকি বিচারপতি সেনের ইমপিচমেন্টেরও দাবি তুলেছেন। এ সব কথা শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এজি-কে বলে, “আপনার যা বক্তব্য, তা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে বলুন।”
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রসঙ্গে অনিয়মের মামলা নিয়ে বুধবার থেকেই হাই কোর্টের একক বেঞ্চ আর ডিভিশন বেঞ্চের টানাপড়েন চলছে। প্রথমে এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিচারপতির এই নির্দেশে এক ঘণ্টার মধ্যেই এ বিষয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। তখন ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশে মৌখিক স্থগিতাদেশ দেয়। বুধবার বিকেলে এর পর আবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। সিবিআই এবং মামলাকারী তাঁকে মৌখিক স্থগিতাদেশের কথা জানায়।
কিন্তু বিচারপতি পাল্টা জানান, স্থগিতাদেশের লিখিত প্রমাণপত্র না পেলে তিনি তা মানতে পারবেন না। এর পরেই সিবিআইকে তদন্তে এগোনোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই মামলায় এফআইআরও দায়ের করতে বলেন। বুধবারেই ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, বিচারপতি সেন ‘রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা’ ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। যা করছেন, তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে করছেন। ভরা এজলাসেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না? এর পরই রাজ্যের এজি আবার সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেখানে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে বিচারপতি সেনের ইমপিচমেন্টের দাবি তুলেছেন এবং যে যে মন্তব্য করেছেন, সে সম্পর্কে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন ডিভিশন বেঞ্চ এজিকে জানায়, তাঁর যা জানানোর আছে, তা যেন প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে বলেন।