হাসপাতালে ছ’দিন কাজ করতে হবে ডাক্তারদের

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে এ বং দু’দিনে একটানা হাজির থেকে সেই নিয়ম মান্য করা হয়েছে বলে দেখিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না। সপ্তাহে ছ’দিন হাসপাতালে থাকতেই হবে। দু’দিনে নয়, ওই ছ’দিনে ভাগ করে থাকতে হবে ৪৮ ঘণ্টা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৭
Share:

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে এ বং দু’দিনে একটানা হাজির থেকে সেই নিয়ম মান্য করা হয়েছে বলে দেখিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না। সপ্তাহে ছ’দিন হাসপাতালে থাকতেই হবে। দু’দিনে নয়, ওই ছ’দিনে ভাগ করে থাকতে হবে ৪৮ ঘণ্টা।

Advertisement

৪৮ ঘণ্টা হাজিরার নিয়ম মানার ক্ষেত্রে ফাঁকি রুখতে এই মর্মে নতুন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের নিয়মটা পুরনো। এবং সেই নিয়ম যে মানা হচ্ছিল না, তা-ও নয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাতে সঙ্গতি থাকছিল না। অধিকাংশ হাসপাতালেই মাত্র দু’দিন হাজির থেকে ৪৮ ঘণ্টা কাবার করে বাকি চার দিন বেমালুম বেপাত্তা! ডাক্তার না-থাকায় ভোগেন রোগীরা। ক্রমাগত অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালে চিকিৎসক নেই।

সমস্যার সমাধানসূত্র হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহকুমা, জেলা, সুপার স্পেশ্যালিটি সব স্তরের হাসপাতালেই একটি নির্দেশ পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সপ্তাহে কাজের জন্য বরাদ্দ ৪৮ ঘণ্টা অন্তত ছ’দিনের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। অর্থাৎ সপ্তাহে ছ’দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করতে হবে। ওই ৪৮ ঘণ্টার বাইরে জরুরি সময়ে ‘অন-কল’ পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন তৈরি করতে বলা হয়েছে সব হাসপাতালকেই।

Advertisement

নিয়মের ফাঁক গলে অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার না-থাকায় রোগীদের বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিশেষত রাতে কোনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক না-থাকায় ‘রেফার’ করা বা অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। মহকুমা, জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এমন নজির কম নয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক না-থাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দফতরকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। যত চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে রয়েছেন, তাঁদের ঠিকমতো কাজে লাগানো হয় না বলেই সমস্যা আরও বাড়ছে, মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন