Relief Camp

ব্যান্ডেলে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু হুগলিতে

কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ পেতে মানুষকে যাতে সরকারি দফতরে ঘুরতে না হয় সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৭:৩১
Share:

চলছে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর আগে ব্যান্ডেলে যে টর্নেডো হয়েছিল, তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু করল হুগলি জেলা প্রশাসন।

Advertisement

টর্নেডোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। বাড়ি-ঘর, দোকান ভেঙে পড়ে। এই কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ পেতে মানুষকে যাতে সরকারি দফতরে ঘুরতে না হয়, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের। বৃহস্পতিবার হুগলি গার্লস হাইস্কুলে শিবির করা হয়। সেখানে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্তদের।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ত্রাণ শিবিরের কাজ দেখতে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার মানবিক। তাই ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন দুয়ার ত্রাণ কর্মসূচির। ঝড়-বৃষ্টিতে যাঁদের বাড়ি-ঘর, চাষের জমি, গবাদি পশু, পুকুরের মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিন দিন এই আবেদন জমা নেওয়া যাবে। ১৯ জুন থেকে থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ। ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ত্রাণের টাকা আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। বাড়ির আংশিক ক্ষতি হলে পাঁচ হাজার থেকে সর্বাধিক কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।’’

Advertisement

অনেকের সঙ্গেই চুঁচুড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পারুল মণ্ডল শিবিরে আবেদন পত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। টাকার অভাবে সারাতে পারিনি। সরকারি সাহায্য পেলে বর্ষার আগে চালটা সারিয়ে নিতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন