digha

Tourism: দিঘায় ফাঁকা হোটেল, পুজোর ভিড় হঠাৎই মন্দারমণিমুখী

প্রতি বছর দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঠাসা ভিড় হয় দিঘার সৈকতে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, দেশের নানা প্রান্ত থেকেও পর্যটকেরা আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১ ০৬:২৩
Share:

ফাঁকা দিঘার সৈকত। নিজস্ব চিত্র

Advertisement

দিঘা নয়, এ বার পুজোয় পর্যটকদের বেশি টানছে মন্দারমণি। অন্তত হোটেলের অগ্রিম বুকিংয়ের পরিসংখ্যান তেমনই ইঙ্গিত করছে।

প্রতি বছর দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঠাসা ভিড় হয় দিঘার সৈকতে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, দেশের নানা প্রান্ত থেকেও পর্যটকেরা আসেন। গত বছর করোনার মধ্যেও লকডাউন উঠে যাওয়ায় পুজোর সময় দিঘায় ভালই ভিড় হয়েছিল।

Advertisement

এ বছর অবশ্য ভাটা। অতিমারির আগের বছরগুলিতে দুর্গাপুজোর তিন -চার মাস আগে থেকে দিঘার হোটেলের সব ঘর বুক হয়ে যেত। কিন্তু এ বার মহালয়ার দু’দিন আগে ৩০ শতাংশ ঘরও বুক হয়নি। উদ্বিগ্ন হোটেল ব্যবসায়ীরা। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠন সূত্রের খবর, ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে সাতশোর কাছাকাছি হোটেল এবং লজ রয়েছে। আছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গেস্ট হাউস। পুজোর ছুটিতে পাঁচ দিনের জন্য প্যাকেজ চালু থাকে। এই প্যাকেজের চাহিদা এত বেশি যে পুজোর কয়েক মাস আগে বুক না করালে আর পাওয়া যায় না। গত বছরও পুজোর আগে ৬০ শতাংশ ঘর বুক হয়ে গিয়েছিল। এ বার ছবিটা অন্য।

দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘মাত্র ৩০ শতাংশ ঘর বুক হয়েছে। আসলে এখনও পুরোপুরি দুর্যোগমুক্ত নয় দিঘা। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে কয়েক দিনের মধ্যে বুকিং বাড়বে বলেই আশা করছি।’’ ওল্ড দিঘার একটি পুরনো হোটেলের মালিকের আবার পর্যবেক্ষণ, নিম্নচাপের জেরে অশান্ত সমুদ্রে প্রায়ই স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে প্রশাসন। ছুটি কাটাতে এসে সমুদ্রস্নানের মজা নিতে না পারলে লোকে আসবেই বা কেন! মন্দারমণিতে তুলনায় কড়াকড়ি কম। তাই সেখানে লোকে ভিড় করছে।

পরিসংখ্যানও বলছে পুজোর ক’দিন মন্দারমণির সব হোটেল এখনই বুক হয়ে গিয়েছে। মন্দারমণি হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেবরাজ দাস মানছেন, ‘‘আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সব হোটেলের বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’’

সরকারি বিধি অনুযায়ী করোনা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় সম্পূর্ণ হলেই সৈকতের হোটেলে ঘর মিলবে। নাহলে সঙ্গে থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। দিঘায় এই সংক্রান্ত কড়াকড়িও যথেষ্ট। পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। তুলনায় মন্দারমণিতে এ সব ক্ষেত্রে নজরদারি শিথিল বলেই অভিযোগ। সেখানে নিয়ম ভেঙে হোটেলের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা অবশ্য বলেন, ‘‘দুর্যোগ হলে সব সৈকতেই সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা থাকে। নজরদারিও সর্বত্র রয়েছে। তবে মন্দারমণির নিরিবিলি পরিবেশ এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় সমুদ্রস্নানের সুযোগ পর্যটকদের কাছে বেশি আকর্যণীয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন