৯টি ট্রেন বাতিল, ক্ষোভ

গত কয়েক দিন থেকেই অসমে অশান্তি চলছিল। তার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেন পরিষেবা। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল হয়েছে বেশ কিছু লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার পর্যন্ত ছিল অসমগামী ট্রেন বাতিল বা মাঝপথে আটকে দেওয়ার ঘটনা। শনিবার তার সঙ্গে যোগ হল ট্রেন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও। হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ ওই লাইনে রেল চলাচল ব্যাহত হয়। কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়। কিছু ট্রেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মাঝপথে। সব মিলিয়ে ভোগান্তি বাড়ল ট্রেন-যাত্রীদের। ট্রেন লাইন বরাবর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে রাজ্য সরকারকে চিঠিও পাঠাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের টিকিট বাতিল করা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি জংশন, এনজেপি এবং সিটি বুকিং অফিস থেকে বেশ কিছু টিকিট বাতিল হয় এ দিন। পূর্ব রেলেরও ৯টি ট্রেন এ দিন বাতিল করা হয়।

Advertisement

গত কয়েক দিন থেকেই অসমে অশান্তি চলছিল। তার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেন পরিষেবা। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল হয়েছে বেশ কিছু লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন। রুট বদল করে, গন্তব্য কমিয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত চালানো হচ্ছিল বেশ কিছু ট্রেন। কিন্তু শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনার পরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘বাধ্য হয়েই তিস্তা-তোর্ষা, হাটেবাজারে, কাটিহার-হাওড়ার মতো ট্রেনগুলি মাঝপথে বাতিল করতে হয়েছে। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছি, যাতে ট্রেন লাইন বরাবর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, তা দেখতে।’’ ট্রেন বাতিলের পর মালদহে অনেক যাত্রীই উত্তরবঙ্গ, গৌড় এবং পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে কলকাতার দিকে রওনা হন। কেউ বাসের খোঁজে যান। রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার একমাত্র ট্রেন রাধিকারপুর এক্সপ্রেস। তা বাতিলের পরে মানুষ দিশেহারা হয়ে বাস খোঁজেন। এ দিন বাতিল হয়েছে হাওড়া-মালদহ টাউন, গুয়াহাটি-কলকাতা গরিবরথ। এনজেপি-রঙ্গিয়া আপ এবং ডাউন ট্রেনগুলিও।

রেলকর্তাদের দাবি, ট্রেন এবং রেলের সম্পত্তি যদি হামলার মুখে পড়ে, তা হলে ট্রেন বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকে না। শনিবারও সকাল থেকেই শিলিগুড়ি শহরের তিনটি বুকিং কাউন্টারে অনেকেই ট্রেনের টিকিট বাতিলে লাইন দেন। গুয়াহাটির বাসিন্দা হেমনাথ ডেকা কর্মসূত্রে থাকেন শিলিগুড়িতে। জরুরি কাজে গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল ২০ ডিসেম্বর। টিকিট কেটেও বাতিল করেন। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝপথে সমস্যা হলে পরিবার নিয়ে চাপে পড়ব।’’

Advertisement

তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদের আবার রানিনগর স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। রানিনগর থেকে জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি ফিরে যেতে হয় যাত্রীদের। রেলের অবশ্য দাবি, কাউকে জোর করে ট্রেন থেকে নামানো হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন