প্রতীকী ছবি।
সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ম আছে, ভোটের দু’দিন আগে নির্বাচনী কেন্দ্রে পৌঁছতে হয় ভোটকর্মীদের। এ বার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ভোটের দু’দিন আগে সেখানে কর্মীদের উপস্থিত হতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন-বিধি চালু হওয়ার পরে সোমবার থেকেই হাওড়া শহরে সব সরকারি অফিস থেকে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, হোর্ডিং, ফেস্টুন খোলার কাজ শুরু হয়েছে।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘বসিরহাটে ১৯ মে ভোট। সেখানে ১৭ তারিখের মধ্যে ভোটকর্মীদের পৌঁছতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, এই জেলার বনগাঁ ও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ৬ মে এবং দমদম, বারাসত ও বসিরহাটে ভোট ১৯ মে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এ বারের ভোটে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক। চালু হচ্ছে কয়েকটি অ্যাপ। এ ছাড়াও টোল-ফ্রি নম্বর ‘১৯৫০’-এ সরাসরি ফোন করে তথ্য দেওয়া বা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
অন্য দিকে, নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার পরে এ দিন থেকেই হাওড়া শহরের সব সরকারি অফিস থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যানার,
হোর্ডিং, ফেস্টুন খুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী। সেই নির্দেশের পরেই হাওড়া পুরসভা থেকে সব রাজনৈতিক হোর্ডিং, ব্যানার ও নেতাদের ছবি খুলে ফেলা হয়েছে।
জেলাশাসক জানান, হাওড়া ও উলুবেড়িয়ায় ভোট আগামী ৬ মে। মোট ভোটার ৩৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৯। এর মধ্যে শারীরিক ভাবে অক্ষম ভোটার রয়েছেন ১৩,৫৮২ জন। তাঁদের জন্যে সব কেন্দ্রে তৈরি করা হচ্ছে র্যাম্প। জেলাশাসক আরও জানান, প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে ভিভিপ্যাট। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আসন্ন নির্বাচনে সি-ভিজিলের উপরে জোর দিচ্ছে কমিশন।