সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসছেন শিবাজি পাঁজা এবং কৌস্তুভ রায়। শুক্রবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
শুধু সিবিআই নয়। দুই ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজা ও কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। সিবিআইয়ের কাছ থেকে নথি সংগ্রহের পরে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। ওই দুই ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এক তদন্তকারী জানান, প্রয়োজনে সিবিআইয়ের কাছ থেকে ইডি-র হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জেরা করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে শিবাজি ও কৌস্তুভকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার তাঁদের আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারক সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরীর এজলাসে তোলা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী আর এন পাণ্ডে ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘‘প্রতারণার জাল অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার।’’
রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতির জন্য কোনও আইনজীবী উপস্থিত না-থাকায় অভিযুক্তেরা এ দিন নিজেরাই সওয়াল করেন। শিবাজি বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে আট বছরের সন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন।
আমি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সব সময়ই সহযোগিতা করেছি। আমাকে জামিন দেওয়া হোক।’’ কৌস্তুভ বলেন, ‘‘আমাকে সিবিআই যখনই ডেকেছে, গিয়েছি। আমার দু’টি সংস্থা রয়েছে। সেখানে ৩০০ লোক কাজ করেন। আমি ব্যাঙ্কের সঙ্গেও সহযোগিতা করছি। অর্ধেক ব্যাঙ্কঋণ পরিশোধ করেছি। ৩১ মার্চের মধ্যে আরও কিছুটা শোধ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি জেলে থাকলে ওই ঋণ পরিশোধ হবে না।’’
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে দু’জনকে তিন দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।