Bengal Teacher Reecruitment Case

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব? গুরুত্বপূর্ণ তিন কর্তাকে থাকার নির্দেশ ব্রাত্যের

শনিবারই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল, সোমবার শিক্ষামন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক বসবেন। শনিবার ছিল মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার হাজারতম দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৮
Share:

(বাঁ দিকে) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চাকরির দাবিতে মাথা মুড়িয়ে ফেলা মহিলা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সোমবার দুপুর ৩টের সময় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার আগে বিকাশ ভবনের তৎপরতা দেখে অনেকেই মনে করছেন, সোমবারের বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে শিক্ষা দফতর।

Advertisement

বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, দুপুরের বৈঠকে ব্রাত্য থাকতে বলেছেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। পাশাপাশি থাকতে বলা বয়েছে সরকারি এক ল-অফিসারকেও। কারণ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের বিষয় আইনি জটিলতার চক্রব্যূহে ঢুকে রয়েছে। কী ভাবে তা কাটানো যায়, সেই পরামর্শের জন্য আইন দফতরের আধিকারিককে বৈঠকে ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শনিবারই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল, সোমবার শিক্ষামন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক বসবেন। শনিবার ছিল মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার হাজারতম দিন। সেই মঞ্চে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা তথা চাকরি প্রার্থী রাসমণি পাত্র মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। বিকেলে ওই মঞ্চে ছুটে গিয়েছিলেন কুণাল। তার পর কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। কুণালের উদ্যোগেই সোমবারের বৈঠক হতে চলেছে। যেখানে তৃণমূল মুখপাত্র থাকবেন অন্য পরিচয়ে। তিনি যাবেন চাকরিপ্রার্থীদের তরফে। রবিবার এক্স পোস্টে কুণাল লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ চান। অভিষেক নিয়োগ চান। তিনি তো এদের সঙ্গে বসেছিলেন। প্রক্রিয়া এগিয়েছিল। ব্রাত্য নিয়োগ চান। কারও বা কিছু লোকের জন্য জটিলতা হয়েছে। এই জটিলতা কাটাতে সর্বশক্তিতে চেষ্টা চলছে। সরকার আন্তরিক। আইনি জট কাটাতে কী করা যায়, ভাবছেন তাঁরা, দেখা যাক। আমি এবং আমরা সবাই চাই, জট খুলুক। আইনি সমস্যা কাটুক। নিয়োগ হোক।’’

Advertisement

সোমবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতিও। গুরুত্ব বুঝেই শিক্ষাসচিব, এসএসসি চেয়ারম্যান ও ল-অফিসারকে রাখা হচ্ছে বৈঠকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন