অনলাইনে কলেজে ছাত্র ভর্তি হলেও দুর্নীতির অভিযোগ দূর করতে পারেনি সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষেই টাকার বিনিময়ে একাধিক কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে বেশ কয়েক জনকে। রবিবার বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানালেন, অনলাইনের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
কিন্তু একমাত্র কেন্দ্রীয় অনলাইন চালু হলেই সমস্যা মিটতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষামহল। বারবার সেই দাবিও জানানো হয়েছে, হচ্ছে। প্রতি বারই শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রীয় অনলাইনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন। এ দিনও কেন্দ্রীয় অনলাইনের প্রসঙ্গে কোনও কথাই বললেন না পার্থবাবু।
কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি, ক্ষুদিরাম কলেজ-সহ অনেক কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি চক্র জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল দফায় দফায়। আশুতোষ কলেজের দিকে বারবার অভিযোগের আঙুল ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়েন ওই কলেজের প্রাক্তনী শিক্ষামন্ত্রী। ঘরোয়া বৈঠকে তিনি কয়েক জন পড়ুয়াকে সতর্কও করে দিয়েছিলেন। তার আগে ও পরে শিক্ষা মহল বারবার দাবি করে এসেছে, কেন্দ্রীয় অনলাইন চালু করা হোক। নইলে দুর্নীতি আটকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার যে এতে নারাজ, এ দিন ফের তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় অনলাইনে সরকারের যতটা অনীহা, ততোধিক উদ্যমে তারা অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়তে চাইছে। যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা প্রস্তাবিত কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ছাত্র কাউন্সিল গড়া হচ্ছেই।’’ মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র শিক্ষার বেসরকারিকরণ চাইছে। রাজ্য সরকার সমস্ত শক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করবে।’’
এ দিন নৈহাটির বিজয়নগরে কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্থবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, শান্তিনিকেতনে হবে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই সঙ্গে কলকাতার আইআইএসডব্লিউবিএম-কে বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ ছাড়াও আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে।