রাবেয়া ও আসনুরা খাতুন দাবি ,রেছেন, তাঁরা সুস্থ। অথচ গত একসপ্তাহ ধরে তাঁদের চিকিত্সার নামে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আটকে রেখে হয়রানি করা হচ্ছে। কবে তাঁদের ছুটি দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দিচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে ফোন করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানালেন রাবেয়ার দিদি সুলেখা খাতুন ও বোন সাবিনা খাতুন। সুলেখা ও সাবিনার দাবি, পুলিশ সুপার তাঁদের দুই বোনকে দুএকদিনের মধ্যেই ছুটি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
যদিও পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহের দাবি, ‘‘চিকিত্সকেরা তাঁদের ছুটি দিলেই ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ সুলেখার পাল্টা দাবি, হাসপাতাল সুপার তাঁদের জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া তাঁদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে তাঁদের ছুটি দেওয়া সম্ভব নয়। হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডল সহ চিকিত্সকেরা রাবেয়া ও আসনুরার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ওঁরা এখনও হাসপাতালে রয়েছেন! ছুটির ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।’’
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের নির্দেশে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস জানান, প্রশাসনের তরফে একটি এজেন্সির মাধ্যমে রাবেয়াকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীর পদে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু রাবেয়া তাঁকে ও তাঁর বোন আসনুরাকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সুমন্তবাবুকে অনুরোধ করেন।
সুলেখা বলেন, ‘‘রাবেয়া ও আসনুরার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসন ওদের সরকারি চাকরিরও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।’’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হেমতাবাদ থানার মাঠে জেডপ্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ফাঁকফোকর গলে ডি-জোন পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে উঠে পড়েন রাবেয়া। একই সময়ে মঞ্চে উঠতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যান রাবেয়ার বোন আসনুরা। করণদিঘি থানার ছাগলকাটি এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসনুরার সরকারি চাকরি ও তাঁদের বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই তাঁরা হাসপাতালে।