ধর্ষণে বাধা, ছুরিতে খুন শিশু ও বৃদ্ধ

অভিযোগ, ওই যুবক মেয়েটির ঘরের বেড়া ভেঙে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘুম ভেঙে চিৎকার করে। বাধা পেয়ে ওই যুবক ছুরি দিয়ে মেয়েটির গলায় আঘাত করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করণদিঘি ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কিশোরীকে ধর্ষণ করতে গেলে বাধা দিয়েছিলেন তার ৭০ বছর বয়সি ঠাকুরদা। তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁদের আত্মীয়, পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের ছুরির আঘাতে মারা যায় ওই বৃদ্ধের দশ মাসের শিশুসন্তানও। মারাত্মক জখম ওই কিশোরী ও বৃদ্ধের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার করণদিঘি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গর্দনকাটা এলাকায়।

Advertisement

অভিযুক্ত হল ওই বৃদ্ধের আগের পক্ষের শ্যালক। দুই বাড়ির দূরত্ব ৫০ মিটারের। তদন্তে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। পাশের ঘরে একাই ঘুমোচ্ছিল তাঁর আগের পক্ষের নাতনি, ১৪ বছরের ওই কিশোরী। অভিযোগ, ওই যুবক মেয়েটির ঘরের বেড়া ভেঙে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘুম ভেঙে চিৎকার করে। বাধা পেয়ে ওই যুবক ছুরি দিয়ে মেয়েটির গলায় আঘাত করে।

পরিবারের দাবি, চিৎকার শুনে বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী ঘর থেকে বেরোন। বৃদ্ধ অভিযুক্ত যুবককে জাপটে ধরার চেষ্টা করেন। তখনই সে তাঁর পেটে ছুরি চালিয়ে দেয়। বৃদ্ধ লুটিয়ে পড়েন। এর পরে তাঁর স্ত্রী অভিযুক্তকে আটকাতে গেলে সে তাঁকেও ছুরি মারে। হামলা থেকে বাদ যায়নি শিশুটিও। জখমদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতের দিকে শিশুটিও মারা যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

Advertisement

এ দিন সকালে মৃত বৃদ্ধের আগের পক্ষের ছেলে করণদিঘি থানায় পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত সে বিহারে পালিয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন