প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়াবাদের বৃদ্ধের শরীরের তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিক। জ্বর নেই। তবে তিনি এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন। ওই বৃদ্ধ বর্তমানে পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই হাসপাতাল সূত্রেই এই খবর জানা গিয়েছে।
কী ভাবে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে তালিকা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। যেহেতু তিনি কোভিড –১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত, তাইতাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জন। তার মধ্যে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুও হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধকে বৃহস্পতিবার রাতে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে। ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে এসে অনেকেই আপাতত স্বাস্থ্য দফতরের নজরে রয়েছেন। শুক্রবার তাঁর স্ত্রী, ছেলে, বৌমা, নাতনি ও পরিচারিকাকে শহরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো খবর ছড়িয়ে আগুন নিয়ে খেললে ছাড়ব না: কড়া বার্তা মমতার
গত ১৩ মার্চ এগরা পুরসভা এলাকার এক হোমিয়ো চিকিৎসকের ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই কোনও ভাবে ওই বৃদ্ধ সংক্রমিত হয়েছেন কি না দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি দিঘাতেও ঘুরতে গিয়েছিলে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই বিয়ে বাড়িতে দেশ-বিদেশের অতিথিরা এসেছিলেন। বালেশ্বর, ভুবনেশ্বর, রৌরকেলা, হায়দরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বোকারো, মধ্যপ্রদেশের আমন্ত্রিতরা ছাড়াও আমেরিকা ও সিঙ্গাপুর থেকে ওই চিকিৎসকের চার বন্ধু এসেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আমন্ত্রিতদের সংখ্যা খতিয়ে দেখতে গিয়েতালিকা ক্রমশই লম্বা হচ্ছে। কয়েকজন বিদেশি অতিথি ইতিমধ্যে সে সব দেশে ফিরেও গিয়েছেন। দিঘার হোটেলে বৃদ্ধের সংস্পর্শে কে কে এসেছেন, তা-ও দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই হোটেল এবং সেখানকার কর্মীদের কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আইসোলেশনে থাকা শহরের ফুসফুস ফিরে পাচ্ছে শুদ্ধ বাতাস
যে হেতু ওই বৃদ্ধের বিদেশ যাওয়ার ইতিহাস নেই তাই চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র বলেন, “ওই করোনা আক্রান্তকে আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক। জ্বর নেই।”