প্রতীকী ছবি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটি এড়াতে পারল না তৃণমূল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। মঙ্গলবার তিন ভোটের ব্যবধানে সভাপতি নির্বাচন করে বোর্ড গঠন হলেও ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তাই চিন্তায় থাকছেন দলের নেতারাই।
পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ আসনের মধ্যে ৩৮ টি তৃণমূলের হাতেই ছিল। বাকি তিন আসনে জিতেছিল বিজেপি। নির্বাচিত এক সদস্য মারা যাওয়ার পরেও তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়নি। তবু সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে টানাপড়েন চলছিলই।
দলের একাংশের দাবি, শ্রাবণী সাহাকে সভাপতি করার ব্যাপারে হাওড়ার দলীয় পর্যবেক্ষক পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শ্রাবণীর বিরোধী গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ হওয়ায় সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলতে থাকে। পাঁচলা ও জগৎবল্লভপুরের দুই তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক ও আবদুল গনি এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেন। ঠিক হয় সভাপতি হবেন জগৎবল্লভপুরের মমতা। এবং সহকারী সভাপতি হবেন পাঁচলার শেখ ইব্রাহিম। স্থানীয়স্তরে নেতাদের এই সিদ্ধান্ত মানতে চাননি শ্রাবণী ও তাঁর সঙ্গে থাকা সদস্যেরা। ফলে এ দিন সভাপতি নির্বাচনে তৃণমূলের দু’জন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের একজন মমতা পাত্র, অন্যজন শ্রাবণী সাহা। ভোটাভুটিতে মমতা পেয়েছেন ২০ ভোট। শ্রাবণী পেয়েছেন ১৭।
সভাপতি বাছাইয়ে ভোটাভুটি যে করতে হচ্ছে, তা ফিরহাদকে জানানো হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এই ভোটাভুটির নেপথ্যে আদতে হাওড়ার জেলা (শহর) সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায় এবং পাঁচলার বিধায়ক গুলশনের ‘ভূমিকা’ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনা হয়েছে বলে দলের একটি অংশ দাবি করছে। এই ভোটাভুটিকে অরূপবাবু ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলতে নারাজ। ভোটাভুটির কথা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়নি কেন? অরূপবাবুর জবাব, ‘‘ভোটাভুটি করা যাবে না বলে দলের কোনও হুইপ ছিল না। আর বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানোর প্রয়োজন ছিল না।’’
দলীয় পর্যবেক্ষক ফিরহাদকে রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও টেলিফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।