West Bengal SIR

এসআইআর-এর জন্য কাউকে ফোন করে ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না! ভোটারদের সতর্ক করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, কমিশনের নাম ভাঁড়িয়ে বহু মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছে এবং ফোন করে বলা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য ওই ওটিপি জরুরি। অনেকেই তা বিশ্বাস করে ওই ভুয়ো ওটিপি নম্বর বলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানায় কমিশনের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৪
Share:

চলছে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার কাজ। —ফাইল চিত্র।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া বা এসআইআর-এর জন্য কোনও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিতে হবে না। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের নির্বাচন কমিশন কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এসআইআর-এর জন্য কারও থেকে ওটিপি চাইছে না।

Advertisement

এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, কমিশনের নাম ভাঁড়িয়ে বহু মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছে এবং ফোন করে বলা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য ওই ওটিপি জরুরি। অনেকেই তা বিশ্বাস করে ওই ভুয়ো ওটিপি নম্বর বলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানায় কমিশনের কাছে। মনে করা হচ্ছে, অসাধু উপায়ে টাকা পয়সা হাতানোর জন্যই একটা চক্র এই কাজ করছে।

সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হল যে, এসআইআর-এর জন্য ওটিপি লাগবে না। এর ফলে এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তি কাটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এসআইআর প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম পূরণের জন্য সবাইকেই মোবাইল নম্বর জানাতে হচ্ছে। সেই সমস্ত নম্বরে এসআইআর-এর জন্য ওটিপি চাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেওয়ার পর স্থামীয় ভাবে বুথ স্তরের আধিকারিক বা বিএলও-রাই এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক করছিলেন। এ বার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকেও জানিয়ে দেওয়া হল যে, এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য ওটিপি লাগবে না।

Advertisement

গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখে সেই অনুযায়ী এই ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। তার পর তা জমা নিয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করছেন বিএলওরা। রবিবার রাত ৮টার বুলেটিনে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement