ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের দুই বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এবং এইআরও (সহকারী ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে শো কজ় করল নির্বাচন কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই চার জনের থেকে কমিশন জবাব চেয়েছে বলে খবর।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুরের ওই বুথে প্রথম যিনি বিএলও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পদাধিকারী। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু অভিযোগ, অপসারণের পরেও ওই বিএলও কাজ করে যান। ওই বুথে নতুন যে বিএলও এসেছেন, তিনি নিযুক্ত হয়েও পুরনো বিএলও-কে কাজ চালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আগে ওই বুথে বিএলও ছিলেন সোমা সেন। পরে বিএলও হয়েছিলেন দেবী হালদার। পর্যবেক্ষক দুই বিএলও-র সই দেখে চিহ্নিত করেছেন। ওই বুথে ইআরও হলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী। দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ় করেছে কমিশন।
বুধবার রাজ্যে নতুন নিযুক্ত পাঁচ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। পাঁচ পর্যবেক্ষক রাজ্যের পাঁচ ডিভিশনের কাজ খতিয়ে দেখবেন। রাজ্যের পাঁচ ডিভিশন হল প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদহ এবং জলপাইগুড়ি।
এ রাজ্যে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার একজনও নেই, এমন বুথের সংখ্যা নেমে দুইয়ে ঠেকেছে। রাজ্যের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-এর দফতর প্রথমে যে তথ্য কমিশনকে দিয়েছিল, সেই অনুসারে সেই সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। বলা হয়েছিল, রাজ্যের ২,২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি বা সেখান থেকে কেউ অন্যত্র স্থানান্তরিত হননি। সেই নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কমিশনের একটি সূত্র বলছে, এ সব কারণে বাড়তি সজাগ হয়েছে কমিশন। নথি আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে আরও পাঁচ পর্যবেক্ষক। এই আবহে বারুইপুরের এক বুথের বিএলও-র বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। এই ঘটনায় চার জনকে শো কজ় করল কমিশন।