চাকুরেদের ভোটশিক্ষা দিতে ফোরাম কমিশনের

সরকারি বা বেসরকারি অফিসের সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেট জগৎকেও এই সচেতনতার পাঠ দিতে চায় কমিশন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাকরিবাকরি করেন। কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব সম্পর্কে হয়তো অনেকের সম্যক ধারণাই নেই! সেই জন্যই ভোট সম্পর্কে চাকুরিজীবীদের সচেতন করতে এ বার কিছু কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

সরকারি বা বেসরকারি অফিসের সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেট জগৎকেও এই সচেতনতার পাঠ দিতে চায় কমিশন। সেই উদ্দেশে ভোটার সচেতনতা ফোরাম (ভোটার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম বা ভিএএফ) তৈরির নির্দেশ দিয়েছে তারা। ১৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রককে নিয়ে সেই ফোরামের আনুষ্ঠানিক সূচনা করার কথা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাংলায় পরিবহণ, পঞ্চায়েত, শিক্ষা, সমাজকল্যাণ, যুব কল্যাণ-সহ বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে রাজ্য স্তরে ফোরামের কর্মসূচি করার কথা মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের।

চাকুরেরা তো সাধারণত ভোট সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন! তা হলে এই ধরনের ফোরাম গড়ার প্রয়োজন হচ্ছে কেন? কমিশনের এক কর্তার জবাব, ‘‘চাকুরে হলেই সব জানবেন, এটা ভাবলে অতি সরলীকরণ হবে। চাকুরিজীবীদের অনেকে ভোটের বিভিন্ন নিয়মকানুন ঠিকঠাক জানেন না। অনেকে উৎসাহও দেখান না। নিয়মকানুন জানা এবং ভোটের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ানোর জন্যই ফোরামের পরিকল্পনা।’’ রাজ্য স্তরে ওই সব ফোরামে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানদেরই আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করার কথা। আর জেলা স্তরে ভোট শিক্ষার জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার আছেন। এই ফোরামেরও দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। মহকুমার ক্ষেত্রে মহকুমাশাসক ও ব্লক স্তরে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এরা ফোরামের দেখভাল করবেন। বেসরকারি সংস্থা বা কর্পোরেটের ক্ষেত্রে সেখানকার প্রধানেরাই ফোরামের আহ্বায়কের ভূমিকা নেবেন। সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মীদের নিয়ে তৈরি হবে ফোরাম। একটি এগ্‌জিকিউটিভ কমিটি তৈরি করার কথা ফোরামের সদস্যদের।

Advertisement

প্রথম ধাপে ভোটার তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন বা পরিচয়পত্র (এপিক) সংক্রান্ত বিষয়ে নানা উপস্থাপনা নিয়ে ৪৫-৫০ মিনিটের আলোচনার ব্যবস্থা থাকছে। দ্বিতীয় ধাপে ২৫ জানুয়ারি, জাতীয় ভোটার দিবসে ১৫-২০ মিনিটের অনুষ্ঠানে ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে ফোরামের সদস্যদের কাছে জানতে চাইতে পারেন আহ্বায়ক। ব্যালট কী ভাবে তৈরি হয়, সেই সম্পর্কে সচেতন করা হবে ফোরামের সদস্যদের। নোটা নিয়ে সেই ব্যালট পেপার তৈরির ক্লাসে পাঠ দেবেন ফোরামের আহ্বায়ক। তাঁরা একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যালট পেপারও তৈরি করবেন। সেখানে বিভিন্ন দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন ফোরামের সদস্যেরাই। সঙ্গে থাকছে ভোট, সংবিধান সংক্রান্ত কুইজ কনটেস্ট, সাপ-সিঁড়ি লুডো, গোলচক্কর-সহ পাঁচটি বোর্ড গেম। ভোটার তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন পর্বে দক্ষিণ দিনাজপুরে গড়া ফোরাম এই ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন