নদী বা খাল-বিলে ঘেরা ছোট দ্বীপের মতো যে জনপদগুলিতে ৩০-৫০ ঘরের বাস, সেখানে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে বিদ্যুৎ দফতর। কারণ, ওই সব এলাকায় যেমন গ্রিডের বিদ্যুৎ বয়ে নিয়ে যাওয়া খরচসাপেক্ষ, অন্য দিকে বন্যায় জলের তোড়ে বারে বারে বিদ্যুতের খুঁটি উপরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে এমন জনপদের সংখ্যা রাজ্যে কত, মন্ত্রী তা জানাতে পারেননি।
শোভনদেববাবু বলেন, ‘‘সুন্দরবনের বাইরেও নদী লাগোয়া বেশ কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে ওই সব অঞ্চল ও আশেপাশে বিদ্যুৎ গেলেও বিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস করছে এমন ঘরগুলিতে বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না।’’ ঠিক হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা দরপত্র ডেকে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে ওই দায়িত্ব দেবে। কমপক্ষে পাঁচ বছর প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে তাদেরই। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কমিটি তৈরি করে সৌর আলোর রক্ষণাবেক্ষণ চালানো হবে। এ দিন বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রতিটি জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষদের ডেকে লো-ভোল্টেজ সমস্যা নিয়ে বৈঠক করেন। কোন ব্লকে বা গ্রামে ওই সমস্যা রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য এ দিন সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে যে নতুন ১৮০টি সাব-স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেই আগামী দিনে লো-ভোল্টেজ সমস্যা অনেকটা মিটবে।