প্রতীকী ছবি।
ভেজাল ঘি যে কারখানায় তৈরি হচ্ছে, তার তিন মালিক তো বটেই, ওই ঘি কিনে নিজেদের মোড়কে বাজারে বিক্রি করছে যে তিনটি নামী সংস্থা, তাদের মালিকদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করল রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা (ইবি)। এ ছাড়া, মামলা রুজু করা হয়েছে আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে, যাঁরা নদিয়া জেলার ফুলিয়ার ওই কারখানায় ভেজাল ঘি তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করতেন।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানায় মামলা রুজু করে (কেস নম্বর ২২৪/১৭, তারিখ: ২৫/০৫/২০১৭) ইবি ভেজাল ঘি তৈরি ও কারবারের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর তদন্ত শুরু করেছে। সকলের বিরুদ্ধে ভেজাল খাবার তৈরি ও বিক্রি, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তদের প্রত্যেককে আগে জিজ্ঞাসাবাদের ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হবে, তার পর প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে।
ফুলিয়ার বুঁইচা ঘোষপড়ার ওই কারখানায় গত ৩ মে ইবি হানা দেয়। ইবি জানতে পারে, ওই কারখানা থেকে ভেজাল ঘি তিনটি নামী সংস্থা কিনে তাদের মোড়কে বাজারে বিক্রি করছে। একটি সংস্থার অফিস ও কারখানা কলকাতার মানিকতলা এলাকার বাগমারিতে। অন্য দু’টি সংস্থার অফিস ও কারখানা চন্দননগরে। একটি চন্দননগরের বড়বাজারে, অন্যটি পালপাড়ায়।
ইবি সূত্রের খবর, ফুলিয়ার কারখানায় বুঁইচা ঘোষপাড়ার ১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা ভেজাল ঘি তৈরির কাঁচামাল অর্থাৎ নিম্ন মানের বনস্পতি, গাওয়া ঘিয়ের কৃত্রিম গন্ধ ও রং সরবরাহ করতেন।
ইবি-র বক্তব্য, কিড স্ট্রিটের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ফুলিয়ার ওই ঘিয়ের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে, সেটি শুধু ভেজাল নয়, বিপজ্জনক ও নিম্ন মানেরও। তদন্তকারীরা বলছেন, একটি চক্র ভেজাল ঘি তৈরি ও বিক্রিতে জড়িত। নামী সংস্থার মোড়কে বাজারে আসা ভেজাল জিনিসকে সাধারণ মানুষ আসল ঘি ঠাউরে ঠকছেন, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।