—ফাইল চিত্র।
ওঁদের সকলেই গেজেটেড অফিসার। কিন্তু ফাইলে নোট লিখতে গেলে অনেকেই হোঁচট খাচ্ছেন। চিঠিপত্র বা ই-মেল লিখতে বসে, কোনও নীতির খসড়া বানাতে বসে হিমশিম অবস্থা তাঁদের! এমনটাই জানাচ্ছে রাজ্যের অর্থ দফতরের শীর্ষ স্তর।
অগত্যা ভরসা ব্রিটিশ কাউন্সিল। নবান্ন ঠিক করেছে, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিস এবং রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসারদের ইংরেজি লেখা ও বলার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চাকরিতে ঢোকার আগে সল্টলেকে এটিআই বা রাজ্য প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাঁদের এক দফা প্রশিক্ষণ হয়েছে। সেই এটিআই-এই তাঁদের পাঠিয়ে ইংরেজির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রশিক্ষকেরা এটিআই-এ গিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন।
সরকারি সূত্রের খবর, অর্থ দফতরের অফিসারদের মূলত ছ’টি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাবলিক স্পিকিং, গ্রুপ ডিসকাশন, ই-মেল রাইটিং, লিসনিং, কনভারসেশন অ্যান্ড এক্সটেম্পোর স্কিলস এবং রিপোর্ট রাইটিং। এক অর্থকর্তা জানান, ই-প্রথা চালু হওয়ার পরে সরকারি কাজকর্মে ই-মেল লেখা খুবই জরুরি। কিন্তু ই-মেল আর চিঠি এক জিনিস নয়। ই-মেল লেখার পদ্ধতি আছে। অধিকাংশ অফিসার চিঠি লেখার মতোই ই-মেল লিখছেন! সেই জন্য তাঁদের ‘ই-মেল কনভেনশন’ শেখানো জরুরি।
সরকারি ফাইলের খসড়া করা, সরকারি চিঠি লেখার শৈলীও জানেন না অনেক অফিসার। গেজেটেড অফিসারদের ‘প্রেজেন্টেশন’ সহযোগে কোনও নীতির ব্যাখ্যা দিতে হয়, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দিতে হয়। সদ্য চাকরি পাওয়া অফিসারদের সেই দক্ষতা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে, মত অর্থকর্তাদের। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রশিক্ষকেরা এটিআই-এ সেই প্রশিক্ষণ দেবেন। শুরুতে ইংরেজিতে প্রত্যেকের দক্ষতার ভিত্তিতেই এক-এক জন অফিসারের জন্য পাঠ্যক্রম ঠিক করা হবে। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত অর্থ দফতরের অফিসারদের দিয়ে শুরু করা হচ্ছে। পরে সব গেজেটেড অফিসারকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’