নদীর অপমৃত্যু রুখতে টানা প্রচার

বঙ্গ বলতেই নদীমাতৃক জনপদের কথা ফুটে ওঠে। কিন্তু সেই পরিচিতি ভবিষ্যতে থাকবে কি? এ বার ‘বিশ্ব জল দিবস’-এ এই প্রশ্নই তুললেন পরিবেশকর্মী ও নদী আন্দোলনে যুক্ত মানুষজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫২
Share:

নদীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ দূষণ। —ফাইল চিত্র।

বঙ্গ বলতেই নদীমাতৃক জনপদের কথা ফুটে ওঠে। কিন্তু সেই পরিচিতি ভবিষ্যতে থাকবে কি? এ বার ‘বিশ্ব জল দিবস’-এ এই প্রশ্নই তুললেন পরিবেশকর্মী ও নদী আন্দোলনে যুক্ত মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের ঔদাসীন্যে একের পর এক নদনদী মরে যাচ্ছে। এ ভাবে নদনদীর মৃত্যু হতে থাকলে বিপন্ন হয়ে পড়বে বাংলার বহু এলাকা।

Advertisement

পরিবেশকর্মীদের যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত বলছেন, ‘‘নদী আসলে অনাথ। তাকে ব্যবহার করার জন্য অনেক সরকারি দফতর আছে, কিন্তু তাকে রক্ষা করার কেউ নেই।’’ তিনি জানান, রাজ্যের নদীগুলিকে বাঁচাতে ১১ এপ্রিল থেকে তিন মাস ধরে জেলায় জেলায় সভা-সমাবেশ হবে। যোগ দেবেন নদী-আন্দোলনকারী এবং জীবিকার জন্য নদীর উপরে নির্ভরশীল মানুষজন।

সবুজ মঞ্চের বক্তব্য, নদী হারিয়ে গেলে ধীবর, কৃষিজীবীদের জীবিকা বিপন্ন হবে। দূষণে সেই জীবিকা এখন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু গঙ্গা বা দামোদরের মতো দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন নদী বা নদ নয়, উত্তরবঙ্গেও বিপন্ন আত্রেয়ী, মহানন্দা, তিস্তা। অনেক ক্ষেত্রেই নদীতে এসে পড়ছে নিকাশি বর্জ্য এবং নানা ধরনের কঠিন বর্জ্য। গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীও দূষণের কবলে পড়ে জীর্ণ হয়ে পড়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নদী দখল করে অবৈধ বালি খাদান তৈরি, নদী-দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় পরিবেশকর্মীদের সাম্প্রতিক সম্মেলনেও। সেই অনুষ্ঠানেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা নদী-বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র জানান, ষত্রতত্র নদীর উপরে বাঁধ তৈরি করায় জলস্রোত বাধা পাচ্ছে, জলাধারে পলি থিতিয়ে পড়ছে। ফলে নদীর জলে পলির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই চাষের কাজে নদীর জল ব্যবহার করা হলেও পলির অভাবে মাটির উর্বরতা বাড়ছে না। কল্যাণবাবুর মতে, ব্রিটিশ আমল থেকেই নদীর নিজস্ব গতিকে আটকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছিল। তাতে বন্যা হয় তো কমেছে, কিন্তু প্রভূত ক্ষতি হয়েছে নদীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন