হাততালি, স্লোগানে মঞ্চ ছাড়লেন ‘বিনয়দাজু’

ভিড়ের মধ্যে দিয়ে মঞ্চে উঠলেন বিনয়। শোনালেন সাপ-বেজির গল্প। পোষা বেজির মুখে রক্ত লেগে থাকতে দেখে গৃহকর্তা ভেবেছিলেন, তাঁর মেয়েকে বুঝি কামড়েছে প্রাণীটা। রাগে বেজিটাকে হত্যা করে ঘরে ঢুকে দেখেন ছোট্ট মেয়েটি দিব্যি খেলছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

নামলেন। বললেন। প্রবল হাততালি কুড়োলেন। এবং বুঝিয়ে দিলেন, নিজেকে ‘রামভক্ত হনুমান’ হিসেবে দাবি করলেও গুরুঙ্গের অবর্তমানে তিনিই হতে চলেছেন দার্জিলিং পাহাড়ের নেতা। তিনি বিনয় তামাঙ্গ। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং। সেখানে ঘণ্টা চারেক কাটিয়ে সন্ধে দার্জিলিঙে যখন পৌঁছেছেন, তখনও তাঁকে ঘিরে ভিড়। ইতিউতি কিছু বিক্ষোভের চেষ্টা হলেও তা হঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ এবং তাঁর অনুগামীরা।

Advertisement

বেলা বারোটা। বাগডোগরা বিমানবন্দরের লাউঞ্জ থেকে বের হন বিনয়। চারপাশে উর্দিধারীরা। দাঁড়িয়ে পুলিশদের সরে যেতে বলেন বিনয়। কয়েকশো সমর্থকের দিকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘ওঁরাই আমাকে নিরাপত্তা দেবে।’’ সমর্থকেরা এগিয়ে আসেন খাদা, ফুলের তোড়া হাতে। তার পরে শ’দুয়েক গাড়ির কনভয়ে সোজা কার্শিয়াং। সেখানে মোটরস্ট্যান্ডের সভাস্থল ঘিরে ছিল পুলিশ-আধাসেনা। কার্শিয়াং ট্যুরিস্ট লজের দিক থেকে বিশাল মিছিল আসে সভায়। অনেকের হাতে গুরুঙ্গের ছবি ছাপানো মোর্চার পতাকা। মুখে স্লোগান, ‘বিমল গুরুঙ্গ জিন্দাবাদ’।

ভিড়ের মধ্যে দিয়ে মঞ্চে উঠলেন বিনয়। শোনালেন সাপ-বেজির গল্প। পোষা বেজির মুখে রক্ত লেগে থাকতে দেখে গৃহকর্তা ভেবেছিলেন, তাঁর মেয়েকে বুঝি কামড়েছে প্রাণীটা। রাগে বেজিটাকে হত্যা করে ঘরে ঢুকে দেখেন ছোট্ট মেয়েটি দিব্যি খেলছে। পাশে একটি বিষধর সাপের রক্তাক্ত দেহ। গল্প শেষে বিনয় বলেন, ‘‘গুরুঙ্গ দাজু, আমাদের ঘরে সাপ ঢুকেছিল। তার বিষ থেকে আপনাকে বাঁচাতেই কলকাতায় গিয়েছিলাম। আর আপনি ভুল বুঝলেন!’’ বিনয় শোনালেন, পাহাড়ে জোড়া বিস্ফোরণের পরে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে মোর্চাকে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার থেকে দলনেতাকে বাঁচাতেই আলোচনায় বসেছেন তিনি। গুরুঙ্গ নাকি পাহাড়ে নেই। এই জল্পনাকে উস্কে বিনয় বলেন, ‘‘কেউ সিকিমে থেকে, কেউ দিল্লি থেকে বন্‌ধ চালিয়ে যেতে বলছেন। এখানকার মানুষ জানে বন্‌ধে তাদের কী কষ্ট হচ্ছে।’’ বিনয় বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের আবেগ বুকে থাকলেও, লড়াইটা চালাতে হবে মাথা দিয়ে।’’

Advertisement

দিনের শেষে যখন সাদা এসইউভি-তে যখন এগোলেন বিনয়, মানুষের মুখে গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান। সঙ্গে ‘বিনয়দাজু জিন্দাবাদ’ ধ্বনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন