Partha Chatterjee

মমতার ‘ধানের পোকা’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে মুখ খুললেন না পার্থ, নীরবেই ঢুকে গেলেন আদালতে

বৃহস্পতিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্প এবং শিক্ষামন্ত্রী। তখনই তাঁকে মমতার ‘ধানের পোকা’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১১
Share:

মমতার ‘ধানের পোকা’ মন্তব্য নিয়ে মুখে কুলুপ পার্থর। ফাইল চিত্র।

গত সোমবারই নজরুল মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ধানের পোকা’র প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘যদি একটা পোকা ধানে জন্মায়, তাকে সমূলে বিনাশ না করলে কিন্তু ওই পোকাটা থেকেই সারা ধানে পোকা লেগে যাবে। সুতরাং, আমাকে পোকাটা আগেই নির্মূল করতে হবে।” বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মুখ খোলেননি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্প এবং শিক্ষামন্ত্রী। তখনই তাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ‘ধানের পোকা’ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এর আগে আদালতে ঢোকার মুখে তৃণমূল এবং অন্যান্য বিষয়ে নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেও বৃহস্পতিবার তিনি কোনও কথা বলেননি। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরোটোপে আদালতকক্ষের ভিতরে ঢুকে যান।

দলের কর্মীদের অনুশাসন এবং শৃঙ্খলার পাঠ দিতে তৃণমূল নেত্রী ধানগাছের পোকার উদাহরণ টানার পরেই জল্পনা শুরু হয় যে, দলনেত্রী এই বার্তা দিলেন কাকে? দিদির ‘লক্ষ্য’ কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়? জল্পনা শুরু হয়ে যায় শাসকদল তৃণমূলের অন্দরেও। ঘাসফুল শিবিরের একাংশের ধারণা, মমতার ‘ধানে পোকা’ সংক্রান্ত মন্তব্য একদা দলীয় সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করেই। ইদানীং কালে দুর্নীতির অভিযোগে শুধু পার্থই নন, গ্রেফতারির তালিকায় আছেন অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যের মতো নেতা, বিধায়কও। দলের ওই অংশের প্রশ্ন, ‘‘কই, মানিক বা অনুব্রতকে নিয়ে তো কঠোর অবস্থান নেয়নি দল? তা হলে…।’’

Advertisement

বস্তুত, পার্থের গ্রেফতারির কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে দলের সব পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন অভিষেক। মন্ত্রিপদও যায় পার্থের। অনুব্রত, মানিকদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হবে বলে জল্পনা তৈরি হলেও আখেরে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত চুপই আছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা স্বয়ং একাধিক বার কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়েছেন। অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় ‘প্রতিহিংসা’র। কিন্তু পার্থের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত একটিও শব্দ শোনা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পার্থ দলনেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেন, তা জানতে কৌতূহল ছিল সব পক্ষেরই। কিন্তু পার্থ এ বারের মতো নীরবই রইলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন