প্রাক্তন বিধায়ক পুত্রের বেপরোয়া গাড়ির বলি ৪

ফের বেপরোয়া গাড়ির বলি হলেন চার জন। শনিবার বর্ধমানে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক হেদায়তু্ল্লা চৌধুরীর ছেলের গাড়ি প্রাণ কেড়ে নিল ওই চার জনের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হামিদুল্লা চৌধুরী। অভিযোগ, তিনি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৮:৩৮
Share:

এ ভাবেই দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।

ফের বেপরোয়া গাড়ির বলি হলেন চার জন। শনিবার বর্ধমানে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক হেদায়তু্ল্লা চৌধুরীর ছেলের গাড়ি প্রাণ কেড়ে নিল ওই চার জনের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হামিদুল্লা চৌধুরী। অভিযোগ, তিনি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বর্ধমানের মেমারির কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়রামপুর পুলের কাছে একটি ট্রাক্টরে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ছোট গাড়ি। ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন হামিদুল্লা। ধানবোঝাই ট্রাক্টরটি করে ফিরছিলেন ঝাড়খণ্ড থেকে আসা কয়েক জন। প্রবল গতিতে ট্রাক্টরটিকে ধাক্কা মারায় সেটি ছিটকে পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়।

আহতদের প্রথমে মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ঝাড়খণ্ড থেকে ধানকাটার কাজে আসা দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম জোহানি মুর্মু(‌২০)‌ ও সঞ্জলি কলিং(‌২১)‌। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান আরও দু’জন— ধনতেল হাঁসদা(‌৩২)‌ এবং তেওয়ারি মুর্মু(‌৩৫)‌। ছোট গাড়িটিতে হামিদুল্লা ছাড়াও তাঁর আরও দু’জন সঙ্গী ছিলেন। তাঁরাও আহত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৫ জন।

Advertisement

আরও পড়ুন: মমতা দুর্গার মতো দশ হাতে সামলান সব, আপ্লুত নয়না

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ক-পুত্র মত্ত অবস্থায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা হামিদুল্লার এক সঙ্গী মহম্মদ সইদ বিধায়ক-পুত্রের মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ মেমারি-কাটোয়া সড়কের উপর কুসুমগ্রামের কাছে প্রথমে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এর পর ওই বাইক আরোহীরা তাঁদের তাড়া করলে গতি বাড়িয়ে দেন হামিদুল্লা। এর পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হামিদুল্লা। পুলিশ গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতরা একটু সুস্থ হলে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। হামিদুল্লার শাস্তির দাবিতে সবর স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বিধায়ক সৈকত পাঁজার অভিযোগ,‘‘বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চলছিল৷ বেহিসাবি ভাবে চালানোয় নিরীহ মানুষের প্রাণ গেল!’’

এর আগে ২০১৬-য় রেড রোডে এমনই এক প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাবের ছেলে সাম্বিয়ার বেপরোয়া গাড়িতে প্রাণ হারিয়েছিলেন কর্তব্যরত এক বায়ুসেনা অফিসার অভিমন্যু গৌড়। এ বার অন্য এক প্রাক্তন বিধায়কের ছেলের গাড়িতে বলি হলেন চার জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন