মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদ্বেষ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে এক শিক্ষক ফেসবুকে ‘লাইভ’ মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কোচবিহার কলেজের পাঁচ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার কোচবিহারের রাজারহাট হাইস্কুলের শিক্ষক সুমন কর্মকার ওই লাইভ ভিডিয়োটি পোস্ট করেন। ওই ছাত্রছাত্রীরা টিএমসিপির সদস্য। তাঁদের অন্যতম উজ্জ্বল রায়ের দাবি, ‘‘সুমনবাবুর বক্তব্যে প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়াতে পারে।’’ সুমনবাবু বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সঙ্ঘের কোচবিহার জেলা সভাপতি।
তাঁর দাবি, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সমালোচনা করার অধিকার সবার রয়েছে। তিনি শালীনতা বজায় রেখেই তা করেছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “প্রত্যেকটি বিষয়ে আমাদের নজরে রয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। ওই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখতে একটি বিশেষ দলও করা হয়েছে। ‘দেশবিরোধী’ তকমা সেঁটে ‘শাস্তি’ দেওয়ার প্রক্রিয়া কিন্তু উত্তরবঙ্গ জুড়েই চলছে। মঙ্গলবার বালুরঘাটে একই ভাবে এক যুবককে রাস্তার মাঝে হেনস্থা করা হয়। সেই যুবক থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়ে নেন।
কতটা জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে?
জলপাইগুড়ি শহরের মোহান্তপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক শনিবার ফেসবুকে কাশ্মীরে হামলা নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। তিনি ‘দেশবিরোধী’ মন্তব্য করেছেন দাবি করে একদল বাসিন্দা তাঁর বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সেই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন।
এ দিন তাঁর মা বলেন, “ওই সংস্থা থেকে আমার ছেলেকে বলা হয়েছে, আপাতত কয়েক দিন কাজে না আসতে।” ওই যুবক বাড়িতেও নেই। বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন শিলিগুড়ির অরবিন্দপল্লির এক ছাত্রীও। রবিবার তিনি ফেসবুকে একটি মন্তব্য করার পরে কয়েকশো লোক গিয়ে হামলা চালায়। ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। সেই থেকে দু’জনেই বাড়ি ছাড়া। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় টহল চলছে। জলপাইগুড়ির আরও এক যুবকও বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।