পরীক্ষার ফাঁকে ‘ফেসবুক লাইভ’ করলেন ছাত্রী!

শনিবার তৃতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষায় এমন কাণ্ড নিয়ে দিনভর সরগরম রইল পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:২১
Share:

ফেসবুক লাইভের স্ক্রিনশট।

মোবাইলের পরদায় ভেসে উঠছে উত্তরপত্র। দেখা যাচ্ছে, আশপাশে বেঞ্চে পরীক্ষা দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। তারই মাঝে এক ছাত্রীকে এ ভাবে ‘ফেসবুক লাইভ’ করতে দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকে। ‘ফেসবুক লাইভ’ দেখে বাইরের কেউ ফোন করে সে কথা জানানোয় টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের। শনিবার তৃতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষায় এমন কাণ্ড নিয়ে দিনভর সরগরম রইল পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজ।

Advertisement

অভিযুক্ত ছাত্রীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কী ভাবে ওই ছাত্রী মোবাইল নিয়ে ঢুকলেন, কয়েক মিনিট ধরে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ভিডিয়ো পাঠানো সত্ত্বেও কেন তা শিক্ষকের নজরে পড়ল না— সে প্রশ্ন উঠেছে। বিকেলে বৈঠকে বসে কলেজের পরিচালন সমিতি। কলেজের অধ্যক্ষ তাপস সামন্ত জানান, ছাত্রীটি মোবাইল লুকিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকেছিলেন। তিনি ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন। তবে তাঁকে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সুপারিশ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে পাস কোর্সের ‘এডুকেশন’ পরীক্ষা শুরু হয়। তার মিনিট পনেরো পরেই ওই ছাত্রী ‘ফেসবুক লাইভ’ শুরু করেন। তাঁর বন্ধু-তালিকায় থাকা অনেকেই তাতে অবাক হয়ে যান। কেউ এ সব বন্ধ করে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন, কেউ লেখেন, ‘এটাই দেখার বাকি ছিল’। এরই মধ্যে কেউ কলেজে ফোন করে বিষয়টি জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই ভাইয়ের মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দিল নেশাড়ু দাদা!

ঘটনা চাউর হতেই অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন টিএমসিপি সমর্থকেরা। তাঁদের বক্তব্য, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল রুখতে উচ্চ মাধ্যমিকে কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। কলেজের পরীক্ষায় নজরদারির অভাব থাকবে কেন, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা না হলে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও হতে পারে।’’

আরও পড়ুন: আদালতে হাজিরা দিয়েই রাজ্য এবং সিআইডি-র বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ভারতী

বিকেলে পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকেন অধ্যক্ষ। কালনা থানার এক প্রতিনিধিও যোগ দেন। ছাত্রীর মা কলেজে গিয়ে মেয়ের তরফে ক্ষমা চান। ছাত্রীটি পরে বলেন, ‘‘মজা করতে গিয়ে এমন করে ফেলেছি। আর এই ভুল করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন