BJP MLA Death

‘পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না’, বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

বিধায়কের পুত্র প্রদীপ্ত রায় অভিযোগ করেছেন, বাবার অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি আইটিইউতে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

(বাঁ দিকে) ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।

মঙ্গলবার ভোরবেলায় প্রয়াত হয়েছেন ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাঁর পরিবার। বিধায়কের পুত্র প্রদীপ্ত রায় অভিযোগ করেছেন, বাবার অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি, আইটিইউতে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও পর্যাপ্ত ছিল না। তাই তাঁর বাবাকে এ ভাবে চলে যেতে হল। প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। ওই দিনই হৃদ্‌জনিত সমস্যার সম্মুখীন হলে পার্ক স্ট্রিটের বিধায়ক আবাস থেকে তাঁকে কাছের সরকারি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

পরে তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না পেয়েই মারা গিয়েছেন বিষ্ণুপদ। যদিও, তাঁর পরিবারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও জবাব দিতে চাননি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে সতীর্থের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেছেন, ‘‘তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন যে, এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ভাল নয়। আমাদের বিধায়কের মৃত্যুতে বোঝা গেল রাজ্যের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার প্রকৃত দুরবস্থার চিত্র।’’ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আবার বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমার শরীর খারাপ হলে যেন কোনও দিন সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়া হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন