‘নিশানায়’ দেবাঞ্জন, চিন্তায় পরিবার

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেবাঞ্জন কলকাতার সংস্কৃত কলেজের ভাষাবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রায় তিন বছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন। তাঁর বাবা চন্দনবাবু বর্ধমানের একটি স্কুলের শিক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

ক্যানসার আক্রান্তদের নিয়ে একটি সভায় যোগ দিতে স্বামীর সঙ্গে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে গিয়েছিলেন বর্ধমানের বাসিন্দা রূপালি বল্লভ। রাতে ফিরে টিভিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনায় ছেলের ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টারে দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (বল্লভ)কে ‘ট্যাগ’ করে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে আতঙ্ক বেড়েছে পরিবারের। রূপালিদেবী বলেন, ‘‘আমরা খুব শান্তপ্রিয়। কাল থেকেই চিন্তায়, ভয়ে রয়েছি। এমন কিছু যেন না হয়, যাতে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যায়।’’

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেবাঞ্জন কলকাতার সংস্কৃত কলেজের ভাষাবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রায় তিন বছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন। তাঁর বাবা চন্দনবাবু বর্ধমানের একটি স্কুলের শিক্ষক। বর্ধমানে একটি আবাসনে ন’বছর ধরে রয়েছে পরিবারটি। শুক্রবার সকালে আবাসনের ঘরের ভিতর থেকে রূপালিদেবী বলেন, “আমি ক্যানসার রোগী। স্বামী বাজারে গিয়েছেন। জানলার পাশ থেকে কথা বলব।’’

তাঁর দাবি, ‘‘সকালে ছেলেকে ফোন করেছিলাম। ছেলে আমায় জানিয়েছে, ‘বেশি চাপ নিও না। তেমন কিছুই হয়নি।’ আমি অসুস্থ বলেই ছেলে দুশ্চিন্তা করতে বারণ করছে।’’ রূপালিদেবীর দাবি, রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গে অনেক ক্ষণ ছিলেন দেবাঞ্জন।

Advertisement

একটি বিবৃতিতে দেবাঞ্জন এ দিন দাবি করেছেন, ‘মন্ত্রীমশায় আমার দিকে উদ্ধত হয়ে হাত চালাতে এলে আমি নিজের আত্মরক্ষার জন্য হাতটা সামনে এগিয়ে নিয়ে আসি। এই একটি ছবিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিকৃত করে সমস্ত স্তরে ছড়িয়ে দেয়। এরই সাথে যোগ হয় বিজেপির আইটি সেলের ঘটনা বিকৃতি এবং অপপ্রচার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমশায় নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে আমার ছবি, আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক, বাবার নাম, পেশা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর প্রচার শুরু করেন এবং আমাকে ‘উইচ হান্ট’ করে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা গণপিটুনির পরিস্থিতি তৈরি করেছেন’। তাঁকে গণনিগ্রহ করার জন্য নানা জায়গায় ‘রীতিমতো প্ররোচনা’ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই কলেজ ছাত্রের।

রূপালিদেবী বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, ছেলেকে বদনাম করা হচ্ছে। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ বারবার ফোন করা হলেও চন্দনবাবু ফোন ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement