Farm Bill 2020

কৃষি বিল নিয়ে সর্বদলীয় প্রস্তাব চায় বাম-কংগ্রেস 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের কৃষি বিল, অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন এবং শ্রম আইন সংস্কারের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত প্রস্তাব নেওয়ার জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলল বাম এবং কংগ্রেস। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান বৃহস্পতিবার ওই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে কেন্দ্রের জিএসটি, এনআরসি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে দুর্বল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজ্য বিধানসভায় একাধিক বার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেই উদাহরণ দিয়ে সুজন-মান্নান মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘এখনকার সময়ে জরুরি ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের উপরোক্ত সর্বনাশা পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা খুবই যথাযথ।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও পরিষদীয় দলগুলির যৌথ প্রস্তাব গ্রহণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তবে তাঁর প্রশ্ন, কৃষক স্বার্থে সিপিএম এবং কংগ্রেস পথে নামছে না কেন? যদিও আজ, শুক্রবার দেশের বহু কৃষক সংগঠন যে গ্রামীণ ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে, তাতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

Advertisement

সুজনবাবু, মান্নানের অভিযোগ, কেন্দ্রের কৃষি বিলে কৃষকস্বার্থকে কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে, অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে মানুষের খাদ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং শ্রম আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে শ্রমিকস্বার্থকে বিপন্ন করা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র এই বিলগুলি সেখানে পাশ করিয়েছে অসাংবিধানিক ভাবে এবং সংদসীয় গণতন্ত্রকে কার্যত ধ্বংস করে। সুজনবাবু এবং মান্নান বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ওই আইনগুলির বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তাব তৈরি আছে। আইনগুলি যে সব ক্ষেত্রের, সেগুলি রাজ্য অথবা যুগ্ম তালিকাভুক্ত। কেন্দ্রের অন্যায় আইন রাজ্যে আমরা প্রয়োগ করব না, এই মর্মে প্রস্তাব নিতে চাই। রাজ্য প্রস্তাব আনলে এবং তার মর্মার্থ এক থাকলে আমরা তাতেও সম্মত। আশা করব, রাজ্য আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার সাহস দেখাবে।’’

কেন্দ্রের ওই আইনগুলির বিরুদ্ধে তৃণমূল দিল্লিতে সংসদের অন্দরে-বাইরে সরব হয়েছে। এখন ওই আইনগুলির বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব নেওয়ার জন্য অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে বাম এবং কংগ্রেস দেখতে চাইছে রাজ্য সরকারের সাড়া মেলে কি না। তৃণমূলের আন্দোলনের আন্তরিকতাকে জনগণের সামনে পরীক্ষায় ফেলার জন্যই তাদের এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, মান্নানের কথাতেও তার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি বিরোধিতা মেকি না হলে বিধানসভা অধিবেশন ডেকে ওই প্রস্তাব নেওয়া হোক।’’ পার্থবাবু বলেন, ‘‘পরিষদীয় দলগুলি যৌথ প্রস্তাব গ্রহণ করতেই পারে। কিন্তু কৃষককে বাঁচাতে সিপিএম, কংগ্রেস পথে নামছে না কেন? আমাদের মহিলা, ছাত্র, কৃষক সংগঠন তো লাগাতার আন্দোলন করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন