ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন বাবা

কারখানা মালিকের কাছে বকেয়া মজুরি চাইতে যাওয়ায় তাঁকে মারধর করে মালিক ও তার লোকজন। বাঁচাতে যান যুবকের বৃদ্ধ বাবা। তাঁকেও পেটায় হামলাকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

গোকুল বারুই

কারখানা মালিকের কাছে বকেয়া মজুরি চাইতে যাওয়ায় তাঁকে মারধর করে মালিক ও তার লোকজন। বাঁচাতে যান যুবকের বৃদ্ধ বাবা। তাঁকেও পেটায় হামলাকারীরা। মারা যান গোকুল বারুই (৬৩) নামে অশোকনগর-কল্যাণগড়ের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। অভিযুক্ত এক কারখানা মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।

Advertisement

রবিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ অশোকনগরের নবজীবন পল্লির ঘটনা। গোকুলের ছেলে লিটন পুলিশের কাছে কারখানা মালিক সুভাষ বালা, অরুণ বালা, উৎপল বালা এবং সুমন বালার নামে অভিযোগ করেন। ধরা পড়েছে অরুণ।

হাবড়া ও অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ দেখান। কারখানার সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুভাষ শাসক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে এলাকায় ‘দাদাগিরি’ চালায়। স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মলিনা সরকার বলেন, ‘‘সুভাষ তৃণমূল কর্মী। কিন্তু অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।’’

Advertisement

লিটনদের বাড়ির কাছে সুভাষ-অরুণদের সেলাই কারখানায় কাজ করেন লিটন। মজুরি বাবদ কিছু টাকা পেতেন। লিটনকে রবিবার কারখানা থেকে ফোন করে ডেকে মদ খাওয়ানো হয় বলে পরিবারের দাবি। অভিযোগ, টাকা নিয়ে বচসার সময়ে লিটনকে মারধর করা হয়।

গোকুল গেলে সুভাষ-অরুণরা তাঁকেও মারে। বাসিন্দারা জানান, অচৈতন্য গোকুলকে বাড়ির সামনে ফেলে দেয় অভিযুক্তেরা। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement