মৃত বিকাশ ভুঁইয়া। —নিজস্ব চিত্র।
একদিনের পুত্রসন্তানকে কোলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন মা। কয়েক ঘণ্টা পরেই ওড়িশার ভুবনেশ্বরের নার্সিংহোম থেকে এল তাঁর স্বামীর দেহ।
নারায়ণগড়ের মকরামপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণে আহত বিকাশ ভুঁইয়ার বুধবার রাতে মৃত্যু হয়েছে। এ দিন ডহরপুরে বিকাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, আপন মনে খেলছে তাঁর সাত
বছরের মেয়ে সুমি। বাবার মৃত্যুর কথা জানে না সে। বিকাশের স্ত্রী মৌসুমী মঙ্গলবার রাতেই খড়্গপুরের হাসপাতালে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ বার ছেলে হয়েছে তাঁর। মৌসুমীর শাশুড়ি আর দেওর হাসপাতালেই ছিলেন। আর ছেলের চিকিৎসার জন্য কয়েক দিন ভুবনেশ্বরে পড়েছিলেন বিকাশের বাবা।
গত ২৩ অগস্ট তৃণমূলের মকরামপুর কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। আহত হন বেশ কয়েক জন। জখম বিকাশের চিকিৎসা চলছিল ভুবনেশ্বরে। বোমায় দুটো হাতের চেটো থেকে উড়ে গিয়েছিল তাঁর। বিকাশের কাকা শচীন ভুঁইয়া বলেন, ‘‘সবাই বলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। যদিও বিশ্বাস হয় না। খাবারের অর্ডার পেলে কার্যালয়ে যেত বিকাশ। কী করে যে হল!’’ সম্প্রতি হোটেল ব্যবসায় নেমেছিলেন বিকাশ।
প্রতিবেশীরা জানালেন, দ্বিতীয় সন্তান নিয়ে পরিকল্পনার অন্ত ছিল না বিকাশের। আনন্দেও ছিলেন। তবে সন্তানের মুখ আর দেখা হল না তাঁর।