পুজোর মুখে ফের গা-ঝাড়া বর্ষাসুরের

বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ছেলেকে নিয়ে ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে উঠছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক পুজোকর্তা। কিন্তু ঘুড়ি, লাটাই নিয়ে ছাদে পৌঁছনোর আগেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু! ঘুড়ি ওড়ানো পণ্ড তো হলই, উল্টে বৃষ্টির জেরে মণ্ডপের ক্ষতি নিয়ে শুরু হল টেনশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৪
Share:

হঠাৎ ঝিরিঝিরি কলকাতায়। শনিবার রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।

বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ছেলেকে নিয়ে ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে উঠছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক পুজোকর্তা। কিন্তু ঘুড়ি, লাটাই নিয়ে ছাদে পৌঁছনোর আগেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু! ঘুড়ি ওড়ানো পণ্ড তো হলই, উল্টে বৃষ্টির জেরে মণ্ডপের ক্ষতি নিয়ে শুরু হল টেনশন।

Advertisement

ছুটির দিনে ঘরে বসে বৃষ্টি দেখতে মন্দ লাগে না। শনিবার অবশ্য সাতসকালের বৃষ্টিতে সেই মেজাজ তৈরি হয়নি উত্তর কলকাতার এক নামী পুজোর সম্পাদকের। বৃষ্টি শুরু হতেই ছাতা মাথায় পড়িমরি করে ছুটলেন পাড়ার পার্কে। সেখানে তত ক্ষণে ত্রিপল দিয়ে মণ্ডপ ঢাকতে শুরু করে দিয়েছেন ডেকরেটরের শ্রমিকেরা। পুজো শুরু হতে এখনও দিন কুড়ি বাকি। কিন্তু শনিবার

বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হানা দিল বর্ষাসুর। সেই হামলায় মণ্ডপ বাঁচাতে পুজোকর্তারা যেমন ফাঁপরে পড়েছেন, তেমনই ছুটির দিনে পুজোর কেনাকাটা সারতে গিয়ে কাদা-জলের ঝক্কি পোহাতে হয়েছে লোকজনকে।

Advertisement

সাম্প্রতিক নিম্নচাপ কাটার পর ঝিমিয়ে ছিল বর্ষা। বরং ভাদ্রের শেষ লগ্নে ঝকঝকে রোদ আর নীল আকাশে শরৎ মেজাজ। তা হলে হঠাৎ এমন গা ঝাড়া দিয়ে উঠল কেন সে?

আবহাওয়ার হাল-হকিকত খতিয়ে দেখে আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, সিকিম থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার ফলেই সকাল থেকে মেজাজ চড়েছে বর্ষার। বর্ষার এই আচমকা মেজাজ বদলে কপালে ভাঁজ পড়ছে পুজোকর্তা থেকে ফুটপাথের দোকানিদের। কেউ বলছেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে থিমের মণ্ডপ গড়ছি। বৃষ্টি হামলা চালালে কাজ তো পণ্ড হবে! দোকানিরা বলছেন, পুজোর বাজারের জন্য বেশি পুঁজি লাগিয়ে অতিরিক্ত জামাকাপড়, জুতো কিনেছেন। সপ্তাহান্তের বাজার মার খেলে ব্যবসায় লোকসান হবে। হাওয়া অফিস অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছে, আজ, রবিবার থেকেই অক্ষরেখা দুর্বল হবে। ফলে বৃষ্টিও কমবে।

তাই চিন্তা বাড়ছে পুজোকর্তাদের। অনেকেই বলছেন, এ বার অক্টোবরের গোড়ায় পুজো পড়েছে। ফলে বর্ষার আশঙ্কা তো আরও থাকছে। হাওয়া অফিস বলছে, নির্ঘণ্ট মেনে চললেও দক্ষিণবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা ৮ অক্টোবর। এ বছর ওই দিনই পুজোর অষ্টমী। গত কয়েক বছরের হিসেব বলছে, বর্ষার বিদায় ঢিমেতালে হচ্ছে। সরকারি ভাবে এখনও পুজোর পূর্বাভাস দিতে নারাজ আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অধিকর্তা বলছেন, ‘‘পুজো আসতে এখনও অনেক বাকি। তাই সে সময় কী আবহাওয়া থাকবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন