বাড়ি ফেরেনি মেয়ে, টাকা চেয়েও ফোন

পনেরো দিন হয়ে গেল, মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। বদলে নানা সময়ে এসেছে নানা ফোন। কখনও মেয়েটির বাবাকে বলা হয়েছে, আপনার মেয়ে বিয়ে বাড়িতে আছে। কখনও আবার হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, মেয়েকে ফেরত চাইলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিন! শেষে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কলেজ পড়ুয়ার বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪২
Share:

পনেরো দিন হয়ে গেল, মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। বদলে নানা সময়ে এসেছে নানা ফোন। কখনও মেয়েটির বাবাকে বলা হয়েছে, আপনার মেয়ে বিয়ে বাড়িতে আছে। কখনও আবার হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, মেয়েকে ফেরত চাইলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিন! শেষে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কলেজ পড়ুয়ার বাবা। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা ওই তরুণীর বাড়ির তরফে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণী পড়াশোনার ফাঁকে আলিপুরদুয়ারেরই একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন। তাঁর বাবার দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে মেয়ের কাছে একটা ফোন আসে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যান। বলে যান, নার্সিংহোমের ফোন পেয়ে সেখানে যাচ্ছেন। বিকেলের মধ্যেই ফিরবেন। কিন্তু সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ফোন করে জানান, নার্সিংহোমেরই এক সহকর্মীর বাড়িতে থেকে পরের দিন বাড়ি ফিরবেন। পরিবারের দাবি, তার পর থেকে আর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কিছুক্ষণ পরে মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়।

পরিবারের দাবি, পরদিন থেকে পরিবারের কাছে ফোন আসে নানা নম্বর থেকে। তরুণীর বাবা পুলিশে অভিযোগ করেছেন, দু’দিন পরে ফোনে একটি পুরুষকণ্ঠ জানায়, তাঁর মেয়ে খাপাইডাঙা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রয়েছে। এরও কয়েক দিন পরে অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, মেয়েকে ফিরে পেতে চাইলে পাঁচ লক্ষ টাকা দিন! আর অপেক্ষা না করে ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তরুণীর বাবা। এর পর ২৮ জানুয়ারি তিনি থানায় মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন।

Advertisement

এর দু’দিন পরে ফের তরুণীর বাবার কাছে ফোন আসে বলে তাঁর দাবি। তিনি জানান, সেখানে কয়েক জন হিন্দিতে কথা বলছিল। তাঁর আরও দাবি, সেখানে তিনি মেয়ের গলায় পেয়েছেন। এই সব ফোনের সূত্র ধরেই এগোতে চাইছে পুলিশ। এমনই জানান জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল।

অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে শিলিগুড়ির জিম-পার্লার কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডুর নিখোঁজ হওয়ার মিল পাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই ক্ষেত্রেও পুরো বিষয়টা অত্যন্ত রহস্যজনক। পরিবারের লোকেরা বলছেন, তাঁদের মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথা উঠলেও মেয়েটির পরিবারের আপত্তিতে তা ভেস্তে যায়। এর পরে ওই যুবকের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু তিনি এই তরুণীর পিছু ছাড়েনি বলে পরিবারের অভিযোগ। যদিও পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট কারও নাম করে অভিযোগ জানায়নি পরিবার। তবে মেয়েকে ফিরে পেতে পুলিশের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছেন তাঁর মা। বলেছেন, ‘‘মেয়ে যেখানেই থাকুক, যে ভাবেই হোক, খুঁজে বের করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন